ওসাকায় ট্রাম্প-জিনপিং বাণিজ্য বৈঠক শনিবার


জাপানের বাণিজ্যিক শহর ওসাকায় আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী জি-২০ সম্মেলন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় এ সম্মেলনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধের বিষয়টিই এখানে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এদিকে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামীকাল শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বহুল আকাঙ্ক্ষিত বাণিজ্য আলোচনা হবে। স্থানীয় সময় বেলা ১১.৩০টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই বাণিজ্য আলোচনাকে ঘিরে সারাবিশ্বের নজর এখন জি-২০ সম্মেলনের দিকে। কেননা দুই দেশের মধ্যে এ নিয়ে জল অনেকটা গড়িয়েছে। বৈরিতার অনেকটা পথ তৈরি হয়েছে। তাই বিশ্লেষকরা আশা করছেন, দুই নেতার এই আলোচনার মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে যে বিরোধ রয়েছে তা অনেকটা দূরীভূত হবে। মূলত চীন থেকে আমদানি করা ভোগ্যপণ্যসহ অন্যান্য পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান বাণিজ্য বিরোধ মেটানোই এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মূল উদ্দেশ। তবে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বিরোধই যে শুধু জি-২০ সম্মেলনে আলোচনা হবে তা নয়, এর সঙ্গে আরো অনেক বিষয়েই আলোচনা হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার এবারের জাপান সফরে নয়টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এর মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকটি হবে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায়, ট্রাম্পের সঙ্গে জি-২০ সম্মেলনে যাওয়া হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হোগান গিডলি সাংবাদিকদের এমনটিই জানিয়েছেন। একই দিন ট্রাম্প বৈঠকে বসবেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে। এ দুই নেতা এরপর আরেকটি বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে। ট্রাম্প পরে মোদির সঙ্গেও একান্তে আলোচনা করবেন।

ব্রাজিলের কট্টর ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনেরোর সঙ্গেও শুক্রবার ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার কথা বলে গিডলি জানিয়েছেন।

এবারের শীর্ষ সম্মেলনে জোটভুক্ত ১৯টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরে আরো ৮টি দেশ এবং ৯টি বহুজাতিক সংস্থাসহ মোট ৩৭টি দেশ ও সংস্থাকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জি-২০ সম্মেলনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন। সম্মেলনে বিশ্ব অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, উদ্ভাবন, পরিবেশ ও শক্তি, শ্রমবাজার, নারীর ক্ষমতায়ন, উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য আলোচ্য বিষয় হিসেবে থাকবে।