ওসমানীনগরে ডাবল সেঞ্চুরি পেরিয়েও নট আউট পেঁয়াজ!

ওসমানীনগর(সিলেট)প্রতিনিধিঃ পেঁয়াজ! নামটা শুনলেই গা শিউরে উঠে সাধারণ মানুষের। আর উঠবেই না বা কেন? নিত্য প্রয়োজনীয় এই ভোগ্যপণ্যের ঝাঁঝালো ইনিংসে কাঁপছে পুরো দেশ। ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে গত কয়েকদিনে দাম বাড়ার বিষয়টি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। পেঁয়াজের দামের পাগলা ঘোড়া এখন আরো ক্ষ্যাপাটে। দেড় শতকের পর করেছে ডাবল সেঞ্চুরি। সারাদেশের পাশাপাশি পেঁয়াজের ঝাঁঝে দিশেহারা সিলেটের ওসমানীনগরবাসীও। গত বৃহস্পতিবার এই উপজেলার খুচরা বাজারে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। গতকাল শুক্রবার তা রুপ নিয়েছে ডাবল সেঞ্চুরিতে তাও নট আউট! লাগামহীন এ দামের ইনিংস বাড়তে পারে আরও।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ময়না বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২২০-২৩০, জামতলা বাজারে ২১০-২৩০, কলারাই, নিউমার্কেট, বুরুঙ্গা, কালনীরচর ও শেরপুর নতুন বাজারে ২২০-২৩০ টাকা, উমরপুর, দয়ামীর, তাজপুর ও কুরুয়া বাজারে ২০০-২২০টাকা। অন্যদিকে, উপজেলার ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র গোয়ালাবাজারে ২০০-২৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের এমন লাগামহীন দাম কেন জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজ এখনো ওঠেনি। ভারতীয় পেঁয়াজেরও আমদানি নেই। আমাদের বেশি টাকা দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। এ অবস্থায় লাগামহীন দামে আমাদেরকে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে যা আমাদেরও বিবেকে বাধছে।

দাম কমবে কি না এরকম প্রশ্নে আরেকজন ব্যবসায়ী জানান, দাম কমার কোন সম্ভাবনা দেখছিনা। আমাদের পেঁয়াজের বাজার ভারতের ওপর নির্ভরশীল। এই মুহূর্তে ভারত আমাদের পেঁয়াজ না দিলে পেঁয়াজের বাজার আরও ভয়াবহ রুপ নিবে। বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা একজন সাধারণ ক্রেতা জানান, বাজারগুলোতে প্রশাসনিক নজরদারি না থাকায় পেঁয়াজসহ অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রীর দর নিয়ন্ত্রণহীন। বুধবার পেঁয়াজের দাম ছিল ১৪০-১৫০ টাকা। সেখান থেকে পরের দিন বৃহস্পতিবার এক লাফে বেড়ে যায় ১৭০-১৮০ টাকা। গতকাল শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকা দরে। আজ শনিবার পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে। এর আগে কখনো দেশের বাজারে এত দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি।