এক অসহায় প্রবাসীর বাড়ি বিক্রি না করায় পুলিশ কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাড়ির প্রবেশ পথ বন্ধ

কামররুল ইসলাম, চট্টগ্রাম: মোরশেদ আলম নামের এক কুয়েত প্রবাসী জানান তিনি ২১ বছর যাবত কুয়েতে বসবাস করছেন তার কষ্টের সঞ্চয় দিয়ে তিনি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজারের  উত্তরে তাজমহল হোটেলের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে একটা বাড়ি করিয়াছেন। ওই বাড়িটা শতকোটি টাকার মালিক মীর গোলাম ফারুক,  পিত- মৃত মহিউদ্দিন গ্রাম- চান্দশ্রি,উপজেলা চৌদ্দগ্রাম   নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা ক্রয় করতে চাইলে মোরশেদ আলম বিক্রয় করতে নারাজি জানালেন এরপর থেকে ওই পুলিশ কর্মকর্তা মীর গোলাম  ফারুক,  মোরশেদ আলমের বাড়ির প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেন। এই প্রবেশপথ কিভাবে বন্ধ করে দিয়েছে জানতে গেলে মোরশেদ আলম জানান সরকারি খাস এবং সড়ক বিভাগের কিছু জায়গা ছিল তার বাড়ির সামনে ওই জায়গার উপরে মীর গোলাম ফারুক  উচ্চ দেওয়াল এবং ঘর নির্মাণ করে মোরশেদ আলমের বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। মোরশেদ আলমের টোটো চতুর্দিকে বাচ্চার নিয়ে মোরশেদ আলমের স্ত্রী বড় অসহায় অবস্থায় ওই বাড়িতে বসবাস করছেন। বর্তমান অবস্থায় তার স্ত্রী এবং সে মানসিক টেনশনে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন তাই তিনি তাঁর পরিবারবর্গ কে বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের সকল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী মানবতার মা শেখ হাসিনার এবং কুমিল্লার সম্মানিত পুলিশ সুপার ও সড়ক বিভাগ সহ সহকারি কমিশনার ভূমি চৌদ্দগ্রাম  হস্তক্ষেপ কামনা করে গণমাধ্যমকে একটি বিবৃতি দিয়েছেন তার বিবৃতিটি কেন্দ্র করে মীর গোলাম ফারুকের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি জানান সরকার থেকে জায়গা লিজ নিয়েছেন তাই সেখানে বাড়ি এবং দেয়াল নির্মাণ করেছেন। মোরশেদ আলমের যদি বাড়ির রাস্তা পেতে হয় তাহলে অবশ্যই সমঝোতায় আসতে হবে এই ছাড়া আর কোন গতি নেই কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজন বলেন এই মিয়া গোলাম  ফারুক  একজন হাইওয়ে থানার ওসি সেই সুবাদে তার ক্ষমতা রয়েছে এবং এই দীর্ঘদিন চাকরির সময় কালে মিয়া গোলাম  ফারুক  অডেল সম্পত্তি ও কোটি টাকার মালিক এ রূপান্তরিত হয়েছে তার শক্তির কাছে কেউ পেরে উঠছে না তিনি আইনকে গাইন করে সমস্ত কিছু করছে তার প্রতিবাদ করার মতো লোকের সাহস নেই বিধায় তিনি দীর্ঘদিন যাবত এই সমস্ত অপকর্ম করে আসছেন তার বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এলাকাবাসীর আবেদন।