ঈদে কেনাকাটা করতে ভারতগামী যাত্রীদের বেনাপোল ইমিগ্রেশনে উপচে পড়া ভিড়

যশোর প্রতিনিধি: বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রী বৃদ্ধি পেয়েছে। চেকপোষ্ট কাস্টমস ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদের সময় ভারত থেকে কেনাকাটা করতেই একটি বড় অংশ ভারতে পাড়ি দিচ্ছেন। এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট একটি মহল। যাত্রীদের সুবিধার্থে বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি যাত্রী টার্মিনাল করেছে। সেখান থেকে টাকাও আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীরা পাচ্ছেন সেবার পরিবর্তে চরম ভোগান্তি। সেখানে সেবার বালাই নেই বলে অভিযোগ করছে যাত্রীরা। সরেজমিনে স্থল বন্দরে যেয়ে কথা হয় ময়মানসিংহ জেলার পাসপোর্ট যাত্রী আলমগীর হোসেনের ( পাসপোর্ট নং এও- ২০৯২৫৭১) সাথে। তিনি বলেন সারারাত জেগে বেনাপোল এসে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে প্রবেশের মুখে দীর্ঘ লাইন হচ্ছে।ওই লাইন থেকে বের হতে প্রায় ৩ ঘন্টা লেগে গেছে । আবার কাছ থেকে যাত্রী সেবার নামে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ সোনালী ব্যাংকের মাধ্যেমে ৫০ টাকা নিয়েছে। তবে, যাত্রী সেবার ছিটেফুটে পাননি তিনি।টেবিলে টেবিলে তার ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার শ্রী সুদেব কুমার (পাসপোর্ট নং ইজি -০৫৪৬৪১৬) বলেন, বেনাপোল চেকপোষ্টে এসে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বেশী অসুবিধায় পড়েছে চিকিৎসারত পাসপোর্ট যাত্রীরা। আন্তর্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের সামনে কড়া রৌদ্রে দাঁড়িয়ে অসুস্থ রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এছাড়া বৃদ্ধ ও শিশুদের রৌদ্রে দাঁড়িয়ে ছটফট করতে দেখা গেছে। এখানে সেবার নামে ৫০ টাকা নিলেও নেই যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রবেশ করার পর স্কানিং মেশিন থেকে ল্যাগেজ বের হওয়ার পর দুই জন আনসার সদস্য তাদের ল্যাগেজে কি আছে কোথা যাবে নানা ধরনের প্রশ্ন করে টাকা দাবি করেন। তারা নানা ধরনের ভয়ভীত দেখিয়ে ২ শত টাকা তার নিকট থেকে নেয়। এভাবে সুযোগ বুজে তারা পাসপোর্ট যাত্রীদের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ তার। এসময় বেনাপোলের মফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি তার একজন আত্নীয়কে এগিয়ে দিতে ইমিগ্রেশনে যেতে গেলে ওই আনসার সদস্যরা অর্থ দাবি করে বলে অভিযোগ করা হয়। এক পর্যায়ে তার সাথে কথা কাটাকাটি ও হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। ভারত এর পাসপোর্ট যাত্রী একুব আলী বলেন, সে বিজিনেস ভিসায় এদেশে আসে। পরে যে কোন কারনে কাস্টমসে প্রবেশ করতে গেলে আনছার সদস্যদের প্রবেশ ফি ২০০ টাকা করে দিতে হয়। এ বিষয় জানতে চেয়ে বেনাপোল কাস্টমস এর জয়েন্ট কমিশনার আব্দুর রশিদ ভুইয়াকে ফোন করলে তিনি বলেন, এটা মিথ্যা কথা। ওখানে বহিরাগতদের প্রবেশ নিশেধ করায় তারা অপবাদ ছড়াচ্ছে। তারপর তাকে ঘটনার সত্যতা জানিয়ে যাত্রীর নাম বললে তিনি বলেন, ওই যাত্রীকে তার সাথে কথা বলতে অথবা কমিশনার আজিজুর রহমান এর সাথে কথা বলার জন্য বলেন মি.রশিদ। এ বিষয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মাদ রাজু বলেন এর আগে আসা যাওয়া মাত্র ৪/৫ শত যাত্রী ছিল। গত দুই দিনে তা ছাড়িয়ে আসা যাওয়া বাবদ প্রায় ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। ভারত ভ্রমণ ভিসা ছাড়িয়ে দেওয়ায় আরো যাত্রী সংখ্যা বাড়বে বলে তিনি আশংখা করেন। বেনাপোল ইমিগ্রেশন যাত্রী সেবার বিষয়ে তিনি বলেন, ভোগান্তির বিষয়টি সফিক নয়। সেবার মান আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে । দ্রুত যাতে যাত্রীরা ভারতে প্রবেশ করতে পারে তার জন্য অফিসাররা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।