ঈদগড়ে সড়কে কন্ঠশিল্পী জনি ও কালু হত্যার প্রতিবাদে সকাল -সন্ধ্যা হরতাল ও মানববন্ধন

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,কক্সবাজারের রামু উপজেলার ইদগড় ইউনিয়নের বাসিন্দা শিশু শিল্পী জনি রাজ দে ও মোঃ কালু কে ইদগড় – ঈদগাও সড়কে দিনে দুপুরে ডাকাত ও সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং বিজিবি ক্যাম্প,সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবীতে  সকাল থেকে  সন্দ্ব্যা পর্যন্ত হরতালের ডাক দিয়েছেন  জনতা। পাশাপাশি চলছে বিভিন্ন  সংগঠনের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। বৃহস্পতিবার ১৫ ই অক্টোবর সকাল থেকে পুর্ব ঘোষনা মোতাবেক বাইশারী -ইদগড় -ঈদগাও সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছেনা। যাত্রী সাধরনের পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগ। হরতালের সমর্থনে যোগ দিয়েছেন ইদগড়ের শত শত জনতা। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর)  সকালে সিএনজি অটোরিকশায় সংঘটিত মুখোশধারীদের ডাকাতির ঘটনায় শিশু শিল্পী জনি দে রাজ সহ নিহতের সংখ্যা দাড়ালো ২ জনে।
নিহত আঞ্চলিক গানের প্রতিভাবান শিশু শিল্পী জনি দে রাজ রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের চরপাড়ার তপন দের ছেলে। তিনি ঈদগাহ ফরিদ আহমদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক শাখার শিক্ষার্থী ছিলেন।
ওই দিন সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী রামু ঈদগড় এলাকার মোহাম্মদ কালু গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তাকে প্রথমে ঈদগাহ হাসপাতালে, পরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান দুইদিন মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
নিহত মোহাম্মদ কালু কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে। তিনি ঈদগড় ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামেও বাড়ী নির্মাণ করে দীর্ঘদিন সেখানে বসবাস করছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে ঈদগাহ বাসস্টেশন থেকে ঈদগড় অভিমূখি একটি সিএজি অটোরিকশা (নং কক্সবাজার-থ-১১..) গাড়ি হিমছড়ি নামক স্থানে ডাকাত কবলিত হয়। এসময় উদীয়মান তরুণ শিল্পী জনি দে রাজ ডাকাতের এলোপাতাড়ি চাপাতির আঘাতে নির্মমভাবে ঘটনাস্থলে নিহত হন। এসময় …উপস্থিত ছিলেন  ঈদগড় এ এম বি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র সংসদের সভাপতি নুরুল আবছার, প্রাক্তন ছাত্র সংসদ সাবেক সাঃ সম্পাদক ও শিক্ষক রশীদুল আলম রিয়াদ,সাধারণ সম্পাদক শাহা মোহাম্মদ তৌহিদ ইসলাম, অর্থ সম্পাদক নুরুল হুদা, ছাত্র নেতা হারুন রশিদ, মামুন রশিদ ঢাবির আইন বিভাগের ছাত্র মহি উদ্দিন, মুমিনুল হক , কৃষি অফিসার আবু আলা-আসাদ বাবলু,প্রাক্তন ছাত্র সংসদের দপ্তর সম্পাদক জালাল আহমেদ, হিন্দু ঐক্য পরিষদ সভাপতি বাবু অদির দে,সমাজ সেবক ফরিদুল আলম,ব্যবসায়ী আহাছাব উল্লাহ, ডাঃ সাহাব উদ্দিন, বাজার সমিতি সাঃ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, ডুয়েট ছাত্র ও প্রাক্তন ছাত্র সংসদের সদস্য মোহাম্মদ আইয়ুব, মোহাম্মদ হাসেম, শ্রমিক নেতার সাঃ সম্পাদক নেজাম উদ্দিন সহ শত জনতার দাবী মোহাম্মদ কালু ও শিল্পী জনি দে রাজ হত্যা কারীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে  সেনা -বিজিবির ক্যাম্প স্থাপনের  প্রতিবাদে হরতাল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ঈদগড়ের বিভিন্ন সংগঠন।