ইলিশ নিধনে নিষেধাজ্ঞা;অপরদিকে শ্রীনগরে জেলেদের প্রস্তুতি!

ইাদিম হায়দার, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে সব ধরণের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। অপরদিকে নদীতে মা ইলিশ নিধনে শ্রীনগরে জেলেরা নিচ্ছে আগাম সব প্রস্তুতি! এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত নদীতে সব ধরণের মাছ ধরার ট্রলার/নৌকা নামতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। অপরদিকে অসাধু জেলেরা নদীতে ইলিশ ধরতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এরই মধ্যে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ভাগ্যকুল ও বাঘড়া এলাকার জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রস্তুতি হিসেবে তৈরী করছেন নতুন ট্রলার/নৌকা ও সেরে নিচ্ছেন নৌকা মেরামতে কাজ। এছাড়া ইলিশের জাল সংগ্রহ ও সেলাইয়ের কাজ। জেলার এলাকায় অগ্রিম টাকা (দাদান) দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে এখানে মা ইলিশ নিধনকে সামনে রেখে মহাউৎসব চলছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি জেলে সমিতি শ্রীনগর উপজেলা শাখায় তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা ৩২০ জন। এর বাহিরেও এখানে রয়েছে প্রায় দ্বিগুন জেলে।

অপরদিকে শ্রীনগরে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়ে মোট জনবল ৩ জন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, মা ইলিশ নিধনের লক্ষ্যে ভাগ্যকুল ও বাঘড়া ঐলাকা থেকে প্রায় ৫’শতাধিক নৌকা নামবে পদ্ম নদীতে। প্রতিটি ট্রলারে জনবলের প্রয়োজন কমপক্ষে ৫/১০ জন। ইলিশের ট্রলারে লাগানো হয় শক্তিশালী শ্যালো ইঞ্জিন। কারণ হিসেবে জানা যায়, অভিযানের সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর সি’বোট’র সাথে পাল্লা দিয়ে দ্রæত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় অসাধু জেলেরা।


সরেজমিনে দেখা গেছে, পদ্মা নদীর তীর ঘেষা উপজেলার ভাগ্যকুল বাজার ও এর আশপাশে খালে শতশত ইলিশের নৌকা ভাসমান রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে নতুন নৌকা তৈরী ও জাল সেলাই কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। এছাড়াও অনেক নৌকা মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। একই দৃশ্য দেখা গেছে বাঘড়া এলাকায় জেলেরা তরিঘড়ি করে বিভিন্ন কাজকর্ম সারছেন।
এ সময় নৌকা মেরামত কাজে ব্যস্ত কয়েকজন জেলের কাছে জানতে চাইলে রহস্যজনক কারণে তারা মুখ খুলতে রাজি হননি!