ইন্সট্রাক্টর ইয়াছিন কর্তৃক মিথ্যা চেক জালিয়াতির মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী ইন্সট্রাক্টর ইয়াছিন ও তার আতœীয় জিয়াউল হক কর্তৃক জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা চেক জালিয়াতির মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ইটাগাছার মৃত বৈদ্যনাথ বিশ্বাসের পুত্র সুব্রত বিশ্বাস লিখিত বক্তব্যে বলেন, সাতক্ষীরা মৌজায় আমার নিজ নামীয় সাড়ে ৪ কাঠা সম্পত্তি বিক্রয়ের ঘোষণা দিলে আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের মৃত. আবু বকর সিদ্দিক গাজীপুর পুত্র মোঃ ইয়াছিন আলী ক্রয়ের ইচ্ছা পোষণ করেন এবং তার সাথে মৌখিক জমি বিক্রয়ের জন্য ৪৮ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়। ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করে তার জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা ছিলো সেই শর্তে বিভিন্ন সময়ে ১৩লক্ষ টাকা গ্রহণ করি। পরবর্তীতে বাকী টাকা চাইতে গেলে সুচতুর ইয়াছিন আলী চুক্তি মোতাবেক টাকা না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। একপর্যায়ে সে জমি নেবে না এবং টাকা ফেরত চায়। এছাড়া সে আমাকে জীবন নাসের হুমকি দেয়। এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় ইয়াছিনের নামে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তার ঋণ পরিশোধের জন্য সাতক্ষীরা পূবালী ব্যাংক শাখায় আমার নামীয় ১৯২৩ নং হিসাবে, ৩০/০৬/২০১৯ তারিখে ১৩লক্ষ টাকার একটি চেক ইয়াছিন আলীকে প্রদান করি। ইয়াছিন উক্ত চেকের তারিখ এবং টাকার অংক কেটে ২৩লক্ষ টাকা ও তারিখ ৩০/০৩/২০১৯ করে থানায় একটি অভিযোগ করে। এঘটনায় আমি সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাহিদ উদ্দীনের কাছে গেলে তিনি শালিসী বৈঠক ডাকেন। সেখানে স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে ইয়াছিন আলী ১৩লক্ষ টাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। শালিসী বৈঠকে ৩লক্ষ টাকা তাৎক্ষনিক প্রদান করি এবং বাকী ১০লক্ষ টাকা ১ সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধের অঙ্গীকার করে ইয়াছিন আলী কাছে থাকা আমার নামীয় চেকটি শেখ সাহিদ উদ্দীনের কাছে ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ১ সপ্তাহের মধ্যে বাকী ১০লক্ষ টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু সরল বিশ্বাসে কোন ডকুমেন্ট রাখা হয়নি। টাকা পরিশোধের পর চেকটি ইয়াছিন আলীর কাছে ফেরত চাইলে সে চেক না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। একপর্যায়ে চেকটি ফেরত না দিয়ে ইয়াছিন আলী ঘষামাজা চেকটি দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে আদালতে সিআর ২৯৪/১৯ বদলী সূত্রে দায়রা ১১৪৬/১৯ নং মামলা দায়ের করে। যা বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু ইয়াছিন আলী এতেও ক্ষ্যান্ত হয়নি। আমাদের সর্বশান্ত করার উদ্দেশ্যে আমার দোকানের কর্মচারি পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার শফিকুল ইসলামের পুত্র শরিফুল ইসলাম চয়নের সাথে অবৈধ যোগসাজস করে আমার দোকানের ড্রয়ারে থাকা পূবালী ব্যাংকের আমার নিজ নামীয় কয়েকটি চেকের পাতা হাতিয়ে নেয়। যা পরবর্তীতে ইয়াছিন আলীর কাছে দেয়। গত ২২ জানুয়ারি সাতনদী পত্রিকা মারফত জানতে পারি খুলনায় আমার বিরুদ্ধে একটি চেকের মামলা হয়েছে। তখন আমি চয়ন কে উক্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।

তিনি আরো বলেন ইয়াছিন আলী চয়নের চুরিকরা চেকের একটি পাতা নিয়ে তার আতœীয় খুলনার বটিয়াঘাটায় বসবাসরত আব্দুর রশিদ মোল্লার পুত্র জিয়াউল হককে দিয়ে উক্ত ফাঁকা চেকে ৫০ লক্ষ টাকা বসিয়ে আদালতে সিআরপি ৫৮৪/১৯ নং মামলা করে। চেকটি প্রতিষ্ঠানের। চেকের সহি আমার না এবং প্রতিষ্ঠানের কোন সীল নেই। অথচ উক্ত জিয়াউল হক বা ইয়াছিন আলী আমার কাছে বর্তমানে আর কোন টাকা পাবে না। আমাকে সর্বশান্ত করতে জাল, জালিয়াতির মাধ্যমে দুটি মিথ্যা চেকের মামলা দিয়েছে। এছাড়াও ইয়াছিন আলী আমার কাছ থেকে ২৩লক্ষ টাকা জোরপূর্বক আদায়ের লক্ষ্যে পত্র-পত্রিকায় একাধিক মিথ্যা সংবাদ ও পরিবেশন করিয়ে যাচ্ছে। আমি একজন নিরিহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে ইয়াছিন আলী ও তার আতœীয় কর্তৃক দায়ের কৃত মিথ্যা জালিয়াতির মামলা প্রত্যাহার এবং মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।