আশুলিয়ায় চার দিন ধরে নিখোঁজ মুরগি ব্যবসায়ী

সাভার প্রতিনিধি: সাভারের আশুলিয়ায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ভাড়া বাসায় ফেরার পথে এক মুরগি ব্যবসায়ী চার দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। নিখোঁজ ব্যক্তির শ্যালক আব্দুল হাকিম বলেন, আবুল হোসেন তার বড় বোনের স্বামী। দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে আশুলিয়ার ভাদাইল বাজারে মুরগির ব্যবসা করেন তার বোনজামাই। দোকান থেকে ভাড়া বাসার দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটারের মতো।
মাঝে মধ্যেই কাজ না থাকলে দোকান থেকে বাসায় চলে যেতেন। গত ১৮ তারিখ ফোন করে বাসায় যাওয়ার কথা জানায় তার বোনজামাই। কিন্তু এরপর আর বাসায় ফেরেনি। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান মেলেনি। পরদিন রোববার আশুলিয়া থানায় জিডি করা হয়।

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার আশুলিয়ার ভাদাইল বাজারের মুরগির দোকান থেকে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়। পরদিন আশুলিয়া থানায় একটি জিডি করেন নিখোঁজ ব্যক্তির বড় ভাই খোরশেদ আলম।

নিখোঁজ আবুল হোসেন (৫৫) ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার দত্তনালাই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় শফিকুল ইসলামের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন।

তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে ফোন করে সে ভালো আছে জানিয়ে আবারও সংযোগ কেটে দেয়। এরপর থেকে ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তার কাছে বেশ কয়েকজন ৫-৬ লাখ টাকা পাবেন। যদিও পাওনাদাররা কখনও তাদের কিছু বলেনি।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ বিন করিম বলেন, নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তি ঋণগ্রস্ত বলে তার পরিবারের কাছে জানতে পেরেছি। মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর হতেই ঋণগ্রস্ত হন ওই ব্যক্তি। তার মুঠোফোনটি এখনও বন্ধ রয়েছে। তবে গতকাল রাতে স্ত্রীকে ফোন করে আবারো বন্ধ রেখেছেন বলে তার পরিবারের কাছে জেনেছি। ধারণা করছি, ঋণের চাপে ওই ব্যক্তি নিজেকে আত্মগোপনে রেখেছেন। তারপরও আমরা তদন্ত করে দেখছি।