নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আল জাজিরা টেলিভিশনের (একটি কাতারভিত্তিক টেলিভিশন) সাম্প্রতিক ভিডিও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট।
আজকে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩ টায় উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা প্রদান করেছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এবং রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন। এছাড়াও বিটিআরসির পক্ষে খন্দকার রেজা ই রাকিব শুনানিতে ছিলেন।
এর আগে ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ এবং ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেনস’ প্রতিবেদনটি ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন এ রিট দায়ের করেছিলেন। রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
এরপর ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রিটের শুনানিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত বলেছিল যে, আল জাজিরার প্রতিবেদনটি ১ লা ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়, যা গত ৯ দিনে দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ দেখেছে। আর আপনি ১০ দিন পর আদালতের কাছে এসেছেন ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে এটি সরিয়ে নেওয়ার আদেশ নিতে। এত দিন কী করেছেন?শুধু এতেই সীমাবদ্ধ নয়, আল জাজিরার প্রতিবেদনের বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি কেন কিছু করেনি সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট রেজা ই রাকিব (বিটিআরসির পক্ষে থাকা আইনজীবী) কে প্রশ্ন করেন, আপনাদের তো এ ধরনের কন্টেন্টের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুর্নিদিষ্ট আইন আছে। তাহলে আপনারা বা তথ্য মন্ত্রণালয় কেন কিছু করেননি? অতীতের বিভিন্ন সময় তো এ ধরনের ইস্যুতে আপনারা ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, তাহলে আল জাজিরা ইস্যুতে কেন আপনারা নিজেরা কিছু না করে আদালতের কাছে এসেছেন?