আলমডাঙ্গায় তীব্র শীতে খেটে খাওয়া মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত

আলমডাঙ্গা অফিস ঃ শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষের। তীব্র শীত আর এক টানা ঘন কুয়াশার কারণে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তুষারাচ্ছন্ন বাতাস আর ঘন কুয়াশায়সহ হাড় কাপাঁনো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মানুষ।শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মজুর পরিবারের মধ্য বয়সী ও বৃদ্ধরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, জেহেলা,নাগদাহ,আইলহাস,বেলগাছি,খাসকররা,চিৎলা,গাংনি,ভাংবাড়িয়া,হারদি, কুমারী,কালিদাসপুর,সহ আলমডাঙ্গা উপজেলা সকল ইউনিয়ন জুড়ে নেমে এসেছে কনকনে শৈত্যপ্রবাহ। প্রচণ্ড তীব্র শীত আর এক টানা ঘন কুয়াশার কারণে আলমডাঙ্গার জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ।নিম্ন আয়ের মানুষের আগুন জ্বালিয়ে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে আগুনের উষ্ণতা পোহাতে দেখা গিয়েছে।
শীতের প্রকোপে অভাব মানুষের জীবন বাঁচানোই দায় হয়ে পড়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামের ভ্যানচালক শহিদুল ইসলাম বুড়ো বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ । প্রতিদিন কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না। কয়েকদিন যাবত অতিরিক্ত কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাসের কারণে আমরা কাজে যেতে পারছি না। সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।শীতে( আজ) গতকাল ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি ২০০ টাকা ভাড়া মেরেছি, শীতের কারণে কোন ভ্যানে যাত্রী পাচ্ছিনা খুব কষ্টের মধ্যে আছি, জানিনা এই শীত কয়দিন থাকবে খুব কষ্ট হচ্ছে ভ্যান চালাতে।
আইলহাস ইউনিয়নের টাকপাড়ার ভ্যানচালক আজিজুল জানান, বাবা আমার ৭০ বছর বয়স কিন্তু আমার ছেলে না থাকার কারণে ভ্যান চালিয়ে আমাকে সংসার চালাতে হয় আমার তিনটা মেয়ে ছিল বিয়ে দিয়ে দিয়েছি সংসারে আমি আর তোমার চাচী রয়েছে এখন পর্যন্ত ভ্যানে ভাড়া হয়নি গতকাল বের হতে পারেনি শীতের কারণে, ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে হাত পা অবশ হয়ে আসছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নাজমুল হক আলমডাঙ্গা উপজেলায় তীব্র শীতের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ও চিকিৎসা নিয়ে ভালো হচ্ছে।

abdulla/sawon