কার্পাসডাঙ্গায় শাহানাজ খানের মৃত্যু ; তিন লক্ষ টাকায় রফা

এম এ জলিলঃ চুয়াডাঙ্গা  জেলার দুই নন্বর আসনের দামুড়হুদা উপজেলার ৩ নং কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আরামডাঙ্গা খাঁ পাড়ার আরজুল্লা খাঁর বড় ছেলে শাহানাজ (৩০) এক সন্তানের জনক। শুক্রবার (০৭ মে) সকাল সাড়ে দশটার দিকে ইট-ভাটার মালিক মতিয়া রহমানের সোহাগ হার্ডওয়ার দুই তালার উপর দিয়ে মেহেরপুর পল্লী-বিদ্যুত সমিতির মেনলাইনের তার গেছে। সেখানে একটু বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী শাহানাজকে ঘরের প্লাসটারে পানি পাঠায়ে মতিয়ার তিনি নিজেই আমাদেরকে জানান, শাহানাজ মোটরের পাইপ দিয়ে পানি দিতে যেয়ে সরাসরি মেইনতারের সংযোগ হয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। যার কারনে ক্যারেন্ট শক খেয়ে তার মৃত্য ঘটে। অপরদিকে শাহনাজের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার নিথর দেহপড়ে আছে তক্তার উপর কিন্তু মাথা থেকে তখনো বাহির হচ্ছে তাজা রক্ত। শাহানাজ খানের এ-অবস্থা দেখে উপস্থিত কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাড়ির আই সি এস আই জুয়েলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওসি স্যার ও পলিশ সুপার স্যারের সাথে জানিয়েছি দেখা যাক। পরে বিশেষ সুত্রে জানা যায়, ভিকটিমকে নগত এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা ও আনুসাঙ্গিক আরো ২ লক্ষ টাকা (মোট তিন লক্ষ ষাট হাজার টাকার) বিনিময়ে ভিকটিমের পরিবারের কাছে  ষ্ট্যাম্পের লিখে নিয়েছে এম আর ব্রিক্সের মালিক মতিয়ার রহমান। তাতেই লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই মাটি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে জনমনে প্রশ্ন যদি অপমৃত্যুই হয় তাহলে টাকা দিয়ে রফা কেন? এলাকাবাসির মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।