আমিরাতের শারজাহতে ৩২ কোটি ডলার ব্যয়ে এয়ারপোর্ট টার্মিনাল সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

মোহাম্মদ আরমান চৌধুরী ইউ এ ই প্রতিনিধি :

সংযুক্ত আরব আমিরাতে শারজাহ্তে ৩২ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ব্যয়ে শারজাহ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয়েছে। শেখ সুলতান বিন মোহাম্মদ আল কাসেমি সম্প্রতি এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সম্প্রসারণ প্রকল্পটির কাজ ২০২৭ সাল নাগাদ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি শেষ হলে আমিরাতের এভিয়েশন খাত আরো শক্তিশালী হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

আরব আমিরাত ভিত্তিক দ্য ন্যাশনাল নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ লাখ ৯০ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে টার্মিনাল সম্প্রসারণের ফলে এয়ারপোর্টের যাত্রী ধারণক্ষমতা প্রতি বছর দুই কোটিতে উন্নীত হবে। এতে যাত্রীদের আগমন ও প্রস্থানের জন্য পৃথক জোন থাকবে। ফলে এয়ারপোর্টের সুযোগ-সুবিধাও উন্নত হবে।
উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কিওস্ক, ইলেকট্রনিক বোর্ডিং গেট, ওয়েটিং লাউঞ্জ, নতুন ডাইনিং ব্যবস্থা ও যাত্রীদের জন্য হোটেল সুবিধা। সম্প্রতি শারজাহ তাদের পর্যটন শিল্পগুলো আরো সম্প্রসারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটির অর্থনীতি সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটন শিল্পে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি ও ভ্রমণের চাহিদা পুনরুদ্ধারের ফলে আমিরাতের এয়ারপোর্টটি গত বছরের প্রথমার্ধে ৭০ লাখেরও বেশি যাত্রীকে পরিষেবা দিয়েছে। সে হিসেবে বার্ষিক ভিত্তিতে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ যাত্রী বৃদ্ধি দেখা গেছে।ফ্লাইট চলাচল ১৪ শতাংশ বেড়ে ৪৬ হাজার ৯০০-এরও বেশি হয়েছে। স্বল্প মূল্যের বিমান সংস্থা এয়ার অ্যারাবিয়া এ শারজাহ এয়ারপোর্টে অবস্থিত। এয়ার অ্যারাবিয়া তৃতীয় প্রান্তিকে প্রায় ১৪ কোটি ২০ লাখ ডলার মুনাফা করেছে। তাদের যাত্রী ট্র্যাফিকের পরিমাণ ২১ শতাংশ বেড়েছে।

ভ্রমণের চাহিদা মেটাতে ও পরিচালনা সক্ষমতা উন্নত করতে শারজাহ এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ গত জুলাইয়ে ছয়টি নতুন গন্তব্য ও তিনটি এয়ার কার্গো রুট যুক্ত করার ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে কুয়ালালামপুর, উফা, সামারা, লার, ইন্দোর ও ব্যাংককগামী যাত্রীবাহী ফ্লাইট রয়েছে। অন্যদিকে নতুন এয়ার কার্গো গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিউস্টন, কিগালি ও নাসিক।