আব্দুল্লাহপুর মহাসড়ক পানির নিচে; চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

সাভার-আশুলিয়া প্রতিনিধি: ঢাকার আদূরে শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়া উপকন্ঠ শিল্পাঞ্চল। মঙ্গলবার (১ জুন) সকাল থেকে এই পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ু না আসলেও এমন বৃষ্টি দেখে মনে হতেই পারে শিল্পাঞ্চলে ঘোর বর্ষা নেমেছে। মুষলধারে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাটসহ ঘরবাড়ি, অলিগলিতে জমেছে হাটু পানি। তৈরি হয়েছে ভোগান্তি, আর এতে সকালের অফিসগামীরা ছিলো বেশামাল।

এলাকাটি শিল্পাঞ্চল কেন্দ্রীক হওয়ায় এখানে লাখ লাখ মানুষের বসবাস। এদের মধ্যে বেশির ভাগই গার্মেন্টস পোশাক শ্রমিক। সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় এমন বৃষ্টির কারণে মহাসড়কে জলবদ্ধাতায় যে দুভোর্গ তৈরী হয়েছে তাতে নারী-পুরুষ সকলকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টির পরক্ষণে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় এ দৃশ্য দেখা যায়। বর্ষার শুরুতেই মুষলধারে বৃষ্টিতে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কে উপর হাটু সমান পানি জমে রয়েছে।

মহামারি করোনা একদিকে সারাদেশে চলছে ভাইরাসের প্রভাব, তারপরে যদি ড্রেনের ময়লা ও ক্যামিকেল যুক্ত পানি দিয়ে রাস্তার এই অবস্থা হয়, তাহলে পানি বাহিত রোগের আশঙ্কাও কিন্তু কম নয়।

অন্যদিকে শুকনো মৌসুমে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের আশুলিয়ায় শিমুলতলা এলাকায় জলবদ্ধা নিরসন না হওয়ায় হতাশ ছিলো এলাকাবাসী। ফলে ভারি বৃষ্টিতে মহাসড়কে জমেছে হাটু পানি। পায়ে হেটে চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে উঠেছে মহাসড়কের এই এলাকাটি। তাই দুর্ভোগ নিয়ে অফিস করছেন এলাকার পোশাক শ্রমিকসহ নানা শ্রেণীর পেশার কর্মজীবিরা মানুষ ।

এ সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন পোশাক শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদের সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বদিউজ্জামান বলেন, মহাসড়কের পানি নিষ্কাষনের জন্য ইত্যি মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আসলে পানি যেই খাল দিয়ে যায় সেই নয়নজুড়ি খালটাই দখল করে রেখেছে অনেকে। তাহলে পানি যাবে কিভাবে? আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থাও আছে, যা ময়লা ফেলে ভরে রেখেছে স্থানীয়রা। আমরা ময়লা পরিষ্কারের জন্য কাজ শুরু করেছি। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ভেকু কাজ করছে। আজকে তো বৃষ্টির পরিমান বেশি তাই জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আজকের জন্য আমরা আরও একটা ভেকু লাগিয়েছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আসলে আমাদের রাস্তার পানিতে মহাসড়কে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হতো না। যদি বিভিন্ন গার্মেন্টস কিংবা বাসাবাড়ির পানি রাস্তায় না আসতো। রাস্তার পানি নিষ্কাশনের জন্য আমাদের যে ড্রেন আছে তা যথেষ্ট। কিন্তু গার্মেন্টস কিংবা বাসাবাড়ির পানি এসে যখন রাস্তা তলিয়ে যায়। তখন পানি নিষ্কাশনে একটু সময় লাগে।

গার্মেন্টস কিংবা বাসাবাড়ির পানি বন্ধ করতে একাধিকবার আমরা গার্মেন্টস কিংবা বাসাবাড়ির মালিকদের সাথে যোগাযোগ করেছি। কেউ আমাদের কথা শুনছে না। এ ব্যাপারে আমরা থানাকেও অবহিত করেছি। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানিয়েছি।