আফগানিস্তানের মুখোমুখি টাইগাররা, টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক: টস জিতে বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠিয়েছে সফরকারী আফগানিস্তান। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুদলের মধ্যে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি আজ বুধবার থেকে শুরু হলো।

এই টেস্ট জিততে মরিয়া স্বাগতিক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের শেষ কিছু দিন ভালো সময় কাটেনি; বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওভার-অল। সেটা এ দল বলেন, একাডেমি বলেন, কোথাও আমরা ভালো পারফর্ম করতে পারিনি। কেবল অনূর্ধ্ব-১৯ দল ফাইনাল খেলেছে ইংল্যান্ডে। সেদিক থেকে চিন্তা করলে আমাদের জন্য এই ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা যদি এই ম্যাচ ভালোভাবে জিততে পারি, আমার কাছে মনে হয়, অনেক কিছুই আবার একটু স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।’

ভালো সময় ফেরাতে গেলে আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে, এটা আবার সাকিব মনে করেন না। তিনি মনে করেন, জয়টা যেমনই হোক, সেটা একইরকম মূল্যের হবে, ‘জয়টাই গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে আর খারাপভাবে নয়। এক রানে জিতলেও সেটি জয়, ১০০ রানে জিতলেও তাই। ১ উইকেট হোক বা ১০ উইকেট, জয় জয়ই। জেতাটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচটাতে অবশ্য ঝুঁকি অনেক বেশি। হেরে গেলে নিন্দার শেষ থাকবে না। কিন্তু জিতলে তেমন প্রশংসা বাইরে থেকে আসবে না। সাকিব বলছিলেন, এই ম্যাচটা জিততে পারলে বাইরে থেকে প্রশংসা না আসলেও তারা নিজেরা জানেন, এই জয়ের মূল্য কত, ‘আমরা ক্রিকেটাররা জানি এটা কত গুরুত্বপূর্ণ মাচ এবং প্রতিটি ম্যাচ জিততে হলে কতটা পারফরম করতে হয় ও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আমরা আমাদেরকে অ্যাপ্রিশিয়েট করি।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের জন্য দলকে যখন তৈরি করছেন তখন সাকিব মনে করেন, নিজেদের ও প্রতিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা মাথায় রেখে ভালো একটা পরিকল্পনা করতে পারছেন তারা। একটি দলের বিপক্ষে যখন প্রস্তুতি নিতে হয়, তখন নিজেদের শক্তি-দুর্বলতা জানা যেমন জরুরি। একই সঙ্গে প্রতিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা জানাটাও জরুরি। এই সবকিছু মিলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং এই সিদ্ধান্তগুলো সাধারণত দলের সবাই মিলেই আসে। পরে হযতো কিছু কিছু মতামত আসে, তার পর সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠিত করা হয়।’

আফগানিস্তানের সেই শক্তি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সাকিব দেখছেন, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের একটা প্রবল চাপ নিতে হবে এই টেস্টে। তিনি বলছিলেন, ‘চ্যালেঞ্জ অবশ্যই থাকবে ব্যাটসম্যানদের পারফরম করার। কারণ ওদের যারা ফাস্ট বোলার আছে তারাও বেশ ভালো মানে। স্পিনাররা তো খুবই ভালো। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক বড়ো চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। কিন্তু আমি আমার ব্যাটসম্যানদের ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখছি।’

কোনো পেসার না নিয়েই মাঠে নামছেন টাইগাররা। একাদশে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ ফাস্ট বোলার। কাজ চালানোর পেসার আছেন কেবল সৌম্য সরকার।

সাকিব আল হাসানসহ একাদশে আছেন চারজন স্পিনার। পাশাপাশি স্পিন করার মতো আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন ও মুমিনুল হক।

দেশের মাটিতে বাংলাদেশের সবশেষ টেস্ট খেলে গেল বছরের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেও স্পেশালিস্ট পেসার ছাড়া খেলেন স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।

আফগানিস্তান একাদশ: ইহসানউল্লাহ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শাহীদি, আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবি, আফসার জাজাই (উইকেটরক্ষক), রশিদ খান (অধিনায়ক), ইয়ামিন আহমদজাই, কায়েস আহমেদ ও জহির খান।