আনন্দ–উচ্ছ্বাসে বর্ষবরণ

করোনার দুঃসময় কাটিয়ে নতুন সম্ভাবনার আশায় আনন্দ–উচ্ছ্বাসে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে বরণ করল বাংলাদেশ। খ্রিষ্টীয় ২০২১ এর প্রথম প্রহরে ফানুস ও আতশবাজিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠল রাজধানী ঢাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উদযাপনের সঙ্গী হয় শহরজুড়ে ভবনগুলোর বাসিন্দারা। বহুতল ভবনের ছাদে মিলিত হয়ে আতশবাজি ও ফানুস উড়ায় তারা।

ইংরেজি ২০২১ সালের শেষ সূর্যাস্তের আগে–পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েত হলেও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নির্দেশনার কারণে সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্যদের চলে যেতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে ছিল পুলিশের চেকপোস্ট৷ ফলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেকটা ফাঁকাই হয়ে পড়ে৷

ঘড়ির কাঁটা ১২টায় পৌঁছাতেই টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ ও সামনে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীরা ফানুস ওড়ায়৷ একই সময়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসিসংলগ্ন ফটক থেকে ছোড়া হয় আতশবাজি। আতশবাজির আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে টিএসসি এলাকা। এ সময় পুরো শহরজুড়ে আতশবাজি ফোটানো হয়। পুলিশের নির্দেশনায় উন্মুক্ত স্থানে জড়ো হতে না পারলেও নিজেদের ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়ে নতুন বছরকে বরণ করেন মানুষ।

টিএসসির উদযাপনে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের ছাত্র রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পুরোনো অপ্রাপ্তি ভুলে নতুন বছরে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করি। আশা করি, নতুন বছর আমাদের দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল বয়ে আনবে, সব পঙ্কিলতা ধুয়ে-মুছে যাবে৷