আদালতে জামিন জালিয়াতি বন্ধে সরকার বদ্ধপরিকর

আদালতে জামিন জালিয়াতি বন্ধে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তকরণসহ ফৌজদারী আইনে বিচারের সম্মুখীন করার পাশাপাশি ক্ষেত্র মতে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ ধরনের জালিয়াতি বন্ধে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

সোমবার জাতীয় সংসদে এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী জানান, জামিন জালিয়াতির বিষয়ে উচ্চ আদালত থেকে পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা নেয়া, জামিন প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট আদালতের কর্মকর্তার সঙ্গে কারাগার কর্তৃপক্ষ যোগাযোগপূর্বক জামিন আদেশের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়াসহ বিভিন্নরূপ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে অনলাইন বেইল কনফারমেশন সফটওয়্যার সিস্টেম চালু রয়েছে, যার মাধ্যমে অধস্তন আদালত উচ্চ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত জামিনের সত্যতা যাচাই করে নিশ্চিত হতে পারছে।

অনিষ্পন্ন মামলার সংখ্যা: এনামুল হকের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, দেশের বিভিন্ন আদালতে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ বছরের অধিক অনিষ্পন্ন বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৫ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৮টি। তার মধ্যে অনিষ্পন্ন বিচারাধীন ফৌজদারী মামলা ২ লাখ ২১ হাজার ১০৮টি ও অনিষ্পন্ন বিচারাধীন দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ৭০টি। এ ছাড়া গত ৫ বছরে আদালতসমূহে সর্বমোট নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা ৬৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪০টি।

দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশহিসেবে বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজেশন করার লক্ষ্যে ই-জুডিশিয়ারি শীর্ষক একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চার বছরমেয়াদি ওই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) প্রকল্পটি গ্রহণের সুপারিশ করেছে।

তিনি জানান,শিগগিরই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উত্থাপিত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে।