আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত চুয়াডাঙ্গার কৃষকরা

ইমরান হোসেন, হাউলী প্রতিনিধিঃ
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ভুট্টা এখন চুয়াডাঙ্গার কৃষকদের প্রধান আবাদি ফসল। গত ১০ বছর ধরে ধান, গমসহ সব ধরনের আবাদকে ছাড়িয়ে ভুট্টার অবস্থান এখন শীর্ষে। জেলার মোট আবাদি জমির পরিমাণ ৯৭ হাজার ৫৮২ হেক্টর। যার অর্ধেক অংশেই ভুট্টার চাষ হয়।
সারাদেশে মোট উৎপাদিত ভুট্টার ৫ ভাগের একভাগ চাষ হয় চুয়াডাঙ্গায়। চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে ৪৬ হাজার ১২১ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর আবাদ হয়েছে ৪৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এ হিসাবে জেলায় মোট উৎপাদন হবে ৫ লাখ ৫২০ টন ভুট্টা। যার বাজার মূল্য ৯শ কোটি টাকা।
গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত নয়টার সময় আকস্মিকভাবে দমকা হওয়া শুরু হয় তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়। অতিমাত্রায় বাতাসের গতিবেগ থাকায় কৃষকের মোট ভুট্টা চাষের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভুট্টা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ের কারণে ভুট্টা গাছ ভেঙে যায়। এতে কৃষকের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়। যেখানে প্রতিবছর বিঘাপ্রতি ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার লাভ হওয়ার কথা সেখানে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার উক্ত গ্রামের চাষি ইনামুল হকের এক বিঘা জমিতে ৪০% ভুট্টা গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশের গ্রাম জয়রাম পুরের কৃষক উজ্জল হোসেন এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। তার এক বিঘা জমির ১০০% ভুট্টা গাছ মাটিতে পড়ে গিয়েছে । এবছর তার মোট ভুট্টা চাষ ছয় বিঘা । তার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই বিঘার বেশি।
পানের বরজ ও ঝড় এর কবল থেকে বাঁচতে পারে নাই । ঝড়ের কারণে পান চাষিদের ক্ষতির পরিমাণ কোন অংশে কম হয় নাই। অসাময়িক বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবজিচাষিরা। যে সমস্ত সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেগুন, টমেটো, লাল শাক, পালং শাক, কলা সহ সব ধরনের সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা দেখা যায়।
Attachments area