আইপি ক্যামেরার আওতায় আসছে সিলেট মহানগর

প্রতিনিধি, সিলেট: প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট প্রটোকল বা আইপি ক্যামেরার আওতায় আসছে সিলেট মহানগর। অত্যাধুনিক ফেইস রিকগনিশন সম্বলিত এই ক্যামেরার মাধ্যমে সহজেই অপরাধীদের অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে। এতে নগরে অপরাধ প্রবণতা কমবে বলে মনে করছে পুলিশ।  

চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ ঠেকানোর পাশাপাশি নিরাপদ নাগরিক জীবন নিশ্চিত করতে সিলেট মহানগরীর গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টগুলোতে বসানো হয়েছে ১১০টি আইপি ক্যামেরা।  

‘ডিজিটাল সিটি’ প্রকল্পের আওতায় বসানো এসব ক্যামেরার মাধ্যমে সহজেই ধরা পড়বে অপরাধীরা। ফেইস রিকগনিশন ফিচারের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত অপরাধীকে ক্যামেরায় দেখা গেলেই সতর্ক বার্তা যাবে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। কতোয়ালী থানায় থাকা এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিচালনা করবেন বিশেষ প্রশিক্ষণ নেয়া পুলিশ কর্মকর্তারা।

ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মধুসুদন চন্দ বলেন, আমাদের এই সিস্টেমে যদি বড় কোন সন্ত্রাসীর তথ্য এবং ছবি ডাটাবেজ করা থাকে। আর ওই ব্যক্তি যদি এই ক্যামেরার আওতাভুক্ত এলাকায় আসে, তাহলে অটোমেটিকভাবেই এই ক্যামেরাগুলি তাকে শনাক্ত করতে পারবে এবং পুলিশের কাছে সংকেত চলে যাবে যে ওই ব্যক্তি কোথায় আছে।

এছাড়া আইপি ক্যামেরায় ‘নাম্বার প্লেট রিকগনিশন’ ফিচারের মাধ্যমে যানবাহনের গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করতে পারবে পুলিশ। 

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ বলেন, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা কোন গাড়ি চুরি হলে আমাদের যদি তাৎক্ষনিকভাবে জানানো হয় তাহলে আমরা গাড়ির নাম্বারটি আমাদের এই ডাটাবেজে সঙ্গে সঙ্গে ইনপুট দিয়ে দিব। এতে গাড়িটি যদি কোন একটি ক্যামেরাতে চলে আসে, সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সংকেত দিবে। আমরা জানতে পারবো গাড়িটি কোথায় আছে।

কেবল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ নয়, যানজট নিরসনেও এই ক্যামেরা কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে পুলিশ। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি অপারেশনে আসবে আইপি ক্যামেরাগুলো।