আইএসে যোগ দেওয়া ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণী শামিমা দেশে ফিরতে চায়

এই আমার দেশ ডেস্ক : বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আইএসে যোগ দেওয়া ব্রিটিশ স্কুলশিক্ষার্থী শামিমা বেগম আবারও যুক্তরাজ্যে ফিরতে চান। এই তরুণী ইতোমধ্যে ব্রিটিশ সরকারের কাছে ফেরার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। ২০১৫ সালে আইএসে যোগ দিতে তিনি সিরিয়া পালান।

শামিমা বর্তমানে সিরিয়ার এক শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানেই এক সাংবাদিক তার সন্ধান পান। গর্ভবতী শামিমা বলেন, তিনি ব্রিটেনে ফিরে যেতে চান নিজের এবং সন্তানের জন্য।

আইএসে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ স্কুলশিক্ষার্থী শামিমা বেগম

শামিমা লন্ডনের বেথনেল গ্রিন অ্যাকাডেমি স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৫ সালে আমিরা আবাসে ও খাদিজা সুলতানা নামে আরও দুই কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে আইএসে যোগ দেন তিনি। তারা ঘোষণা দেন যে জিহাদিদের বিয়ে করে তাদের সন্তানকে যুদ্ধে পাঠাবেন তারা। পরিবারকে একদিনের জন্য বাইরে যাওয়া কথা বলে তুরস্ক গিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করেন ওই তিন কিশোরী।

এখন ওই শরণার্থী শিবিরে ৩৯ হাজার মানুষের সঙ্গে বসবাস করছেন তারা। সেখান থেকেই টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাতকারে শামিমা জানান, এর আগে অপুষ্টি ও অসুস্থতার কারণে দুই সন্তানকে হারিয়ে মানসিকভাবে বড় ধাক্কা খেয়েছেন তিনি। তৃতীয় সন্তান এখন গর্ভে। তার কথা চিন্তা করেই বাঘুজ ত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি দুর্বল ছিলাম। যুদ্ধক্ষেত্রের পরিশ্রম আমি নিতে পারছিলাম না। ভয় হচ্ছিলো আমি থাকলে এই সন্তানটিও আগের দুজনের মতো মারা যেতে পারে।

শামিমা বলেন, আইএসএস ঘাঁটিতে নিপীড়নের ঘটনায় খুবই অবাক হয়েছেন তিনি। তথাকথিত ওই খিলাফত পতনের সম্ভাবনা আঁচ করতে পারছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার কোনও আশা নেই। তারা সব নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। আর সেখানে এত নিপীড়ন ও দুর্নীতি যে আমি মনে করি না যে জয় তাদের প্রাপ্য।’ তিনি বলেন, তার সাবেক সহপাঠী খাদিজা সুলতানা বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমস্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে যে কারও ফিরে আসার অধিকার রয়েছে। তবে সেটি পুলিশের তদন্ত প্রয়োজন। তবে যারা আইএসসহ সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং সাজাও হতে পারে।