আইইডিসি আর রিপোর্ট যশোরে কেউ করোনায় আক্রান্ত নন

উৎপল ঘোষ(ক্রাইম রিপোর্টার ) যশোর ঃ যশোর সদরসহ আটটি উপজেলায় করোনা এর ভাইরাস সংক্রমন সতর্কতায় স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপে যশোর হোম কোয়ারেন্টাইনে সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে সংখ্যা দাড়িয়েছে দু’সহশ্রাধিক। যশোরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা তিন জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে আইইডিসি আর কতৃপক্ষ।এ তথ্য জানিয়েছেন যশোর সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু সাহীন। গত ২৬ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ রাত ৯টা পযর্ন্ত যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমনে সন্দেহে আরও দু’জনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে যশোর হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রুগীর সংখ্যা ৭ জন। তাদের মধ্যে ৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রাত পযর্ন্ত হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১ জন। যশোর সিভিল সার্জন ডাক্তার আবু সাহীন জানিয়েছেন,১০ মার্চ শুক্রবার সকাল ৮ টা হতে ২৭ মার্চ রাত ৮টা পযর্ন্ত অর্থাৎ১৮ দিনে ২ হাজার ২৯ জনকে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত সন্দেহ ভাজন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।কমিউনিটি পর্যায়ে ভাইরাস সংক্রমন সতর্কতায় গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১ শ’ ৪৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে ৫২ জন। এ ছাড়াও অভয়নগরে ৪ জন,মনিরামপুরে ৩৫ জন,কেশবপুরে ২৩ জনকে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কঠোর নজর দারিতে রয়েছেন তারা। হোম কোয়ারেন্টাইনে একটানা ১৪ দিন থাকার পর ২শ’ ১৭ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তারা করোনা ভাইরাসে সংক্রমন মুক্ত।
যশোর সিভিল সার্জন ডাক্তার আবু সাহীন জানান,যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকা আরও ২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ২৫ মার্চ আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়। পরীক্ষার পর ২৭ মার্চ শুক্রবার রিপোর্ট যশোরে পৌঁছেছে। সন্দেহ ভাজনরা কেউ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হননি। যশোরে করোনা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হননি। ফলে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সতর্কতা মুলক পদক্ষেপ হিসেবে সবাইকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা উচিত। তাহলে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
যশোর পৌরসভা কতৃপক্ষ মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু জানান,গত তিনদিন ধরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যশোর পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। পৌর বিভিন্ন সড়কে ধাপে ধাপে প্রাদুর্ভাব না কমা পযর্ন্ত এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।