সংবাদদাতা
অবশেষে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন বরিশালের হিজলার আলোচিত কলেজছাত্রী আসপিয়া ইসলাম কাজল (১৯)। স্থায়ী ঠিকানা জটিলতায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ আটকে গিয়েছিল পিতৃহীন আসপিয়ার।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন আসপিয়া ইসলাম। এছাড়া বরিশাল পুলিশ সুপার মো. মারুফ হাসান রোববার বিকেলে আসপিয়ার চাকরি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বপ্নের চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ায় উৎফুল্ল আসপিয়া ও তার পরিবার। বিশেষ করে তার মা ঝরনা বেগম প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র আসপিয়ার হাতে তুলে দিয়েছেন হিজলা থানার উপ-পরিদর্শক মো. মিজান। নিয়োগপত্রে আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে আসপিয়াসহ চূড়ান্ত নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সামগ্রী নিয়ে জেলা পুলিশ লাইনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকতা শেষে মহিলা টিআরসিদের ৬ মাসের প্রশিক্ষণের জন্য রংপুরে পাঠানো হবে বলে জেলা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাতস্তরের পরীক্ষায় পঞ্চম স্থান অধিকার করে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও স্থায়ী ঠিকানা জটিলতায় কলেজছাত্রী আসপিয়ার চাকরি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন আসপিয়া ও তার পরিবার। পরে গত ৮ ডিসেম্বর বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সে রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামানের কাছে গিয়েছিলেন আসপিয়া। ডিআইজি আসপিয়ার প্রতি সহানুভূতি জানালেও তাকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি।
আসপিয়ার চাকরি আটকে যাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার পায়। এতে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসপিয়াকে হিজলায় জমিসহ ঘর এবং যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার গত ১০ ডিসেম্বর আসপিয়ার পরিবারকে হিজলা উপজেলায় সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে জমি ও ঘর দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এতে আসপিয়ার স্থায়ী ঠিকানা সংক্রান্ত জটিলতা কেটে যায়।
বরিশালের পুলিশ সুপার মো. মারুফ হাসান বলেছেন, বরিশালের জেলা কোটাতেই আসপিয়া চাকরি পেয়েছে ।