অব:শেষে জেলা পুলিশসুপারের হস্তক্ষেপে সমুদ্রে জেলেদের সীমানা জটিলতা সুরাহা

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি   ঃ  অবশেষে কুয়াকাটায়
সমুদ্রে খুঁটা জেলেদের সীমানা জটিলতার সুরাহা হয়েছে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ
সুপারের হস্তক্ষেপে । প্রভাবশালীদের দখলে সমুদ্র, মাছ ধরতে পারছেনা
জেলেরা এমন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশের পর প্রশাসনের নজরে আসে। জেলেদের এ
সমস্যা সমাধানে বুধবার রাত ৯টায় পর্যটন করপোরেশনে দুই শতাধিক জেলেদের
নিয়ে পটুয়াখালী জেলা পুলিশের উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: মনিরুজ্জামান।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার মো: আলী আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুয়াকাটা পৌর মেয়র আ: বারেক
মোল্লা, পটুয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো: বিল্লাল
হোসাইন, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব। মতবিনিময়
সভায় উপস্থিত জেলেদের সমুদ্রে মাছ ধরা নিয়ে জলসীমানা জটিলতা ও চলমান
দ্বন্দ্ব নিয়ে জেলেরা মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহন করেন। মুক্ত আলোচনায় অংশ
নেন জেলে মিলন মাজী, সিদ্দিক মাঝি, মন্নাফ মাঝি, আব্দুর রহমান, আল আমিন,
৫নং জেলে ইউনিট কমিটির সভাপতি আব্দুর রব, আশার আলো জেলে সমবায় সমিতির
সভাপতি মোঃ নিজাম শেখ। মুক্ত আলোচনায় জেলেরা সমুদ্রে জেলে নৌকা
বৃদ্ধি,প্রভাব বিস্তার সহ নানা বিষয় দাবী তুলে ধরেন। আলোচনা শেষে
পটুয়াখালী জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জেলেদের এ সমস্যা সমাধানে জেলে
সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে দিক-নির্দেশনা দেন। এ নির্দেশনা মেনে আগামী ১লা
সেপ্টেম্বরের মধ্যে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন করবেন এই মর্মে জেলে সংগঠনের
নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আলী
আহম্মেদ বলেন, উম্মুক্ত সমুদ্রে সকল জেলেদের মাছ ধরার অধিকার রয়েছে।
এখানে কেউ মাছ ধরবে কেউ ধরবে না এমনটা হতে পারবে না। সকল জেলেরা সমান
জায়গা নিয়ে মাছ শিকার করবে। সমুদ্রে কোন দস্যুতা, চাঁদাবাজি, মাস্তানী ও
দলীয় প্রভাব বিস্তারের সূযোগ নেই। যাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যাবে
তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও বলেন,
বর্তমান সরকারের আমলে সমুদ্রে জলদস্যুতা দমন, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে।
জেলেরা নির্বিঘেœ মাছ শিকার করতে পারছে। বর্তমান সরকার জেলে বান্ধব
সরকার। ইলিশ প্রজনন মৌসুম ও ঝাটকা সংরক্ষনকালীন সময়ে জেলেদের প্রনোদণা
দেয়া হচ্ছে। এসময় তিনি যে কোন সমস্যায় জেলেদের পাশে থাকার দৃঢ প্রত্যয়
ব্যক্ত করেন।