অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলায় টেকনাফের শিক্ষক রফিক কারাগারে : তার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

টেকনাফ প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফে সাবরাং ইউপি’র আলীর ডেইল এলাকার আব্দুল কাদেরের পুত্র মোঃ রফিক (প্রকাশ) বাবুল নামের এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপহরণ পূর্বক হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে গুরুতর জখম করার অপরাধে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় শিক্ষক মোহাম্মদ রফিক বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।

২২ সেপ্টেম্বর সাবরাং সিকদার পাড়া এলাকার আহম্মদ হোছনের ছেলে আবু মুছা বাদী হয়ে প্রধান অভিযুক্ত মোঃ রফিক (প্রকাশ) বাবুল’সহ ছয়জনকে আসামী করে কক্সবাজার আদালতে উক্ত মামলাটি দায়ের করে। যার মামলা নং ৪১৫/২০২৩

আদালত মামলা ও বাদী আবু মুছা জানান, আসামীগণ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৯ সেপ্টেম্বর আমার ছোট ভাই মোশরাইফকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তার শোর চিৎকার শুনে আমার পিতা উদ্ধার করতে গেলে প্রধান আসামী মাস্টার মোঃ রফিক প্রঃ বাবুল’সহ অন্যান্য আসামীরা আমার পিতা-মাতা ও আমাকে চায়নিজ কুড়াল, কিরিচ, লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে আমাদের শোর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

মামলার বাদি আরো বলেন, প্রধান আসামী মোঃ রফিক একজন মাদক কারবারী ও সন্ত্রাসী, সে শিক্ষকতার আড়ালে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে। বর্তমানে সে ও মামলায় কারাগারে রয়েছে।

একজন শিক্ষক কিভাবে এমন অপরাধ-অপকর্মের সাথে লিপ্ত থাকে পারে স্থানীয় সচেতন মহলে অভিমত। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহামান্য আদালতের কাছে অনুরোধ করছি। একজন শিক্ষক হচ্ছে সমাজের মানুষ গড়ার কারিগরি তার আচরণ কখনো এমন হতে পারে না। দ্রুত সময়ে তার বিরুদ্ধে মহামান্য আদালতের সহ প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিকট ওই কথিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি গণকর্মচারি আচরণ বিধি অনুযায়ী তার শিক্ষক পদ বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ ওই শিক্ষক মোঃ রফিকের বিরুদ্ধে তার শ্বাশুড়-শালা মিলে সিন্ডিকেট করে মাদক কারবার সহ সেন্টমার্টিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মূলক কাজের সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও লুটপাট করে এলাকায় প্রায় অর্ধ কোটি ব্যয়ে বিলাশ বহুল বাড়ি নির্মাণের অভিযোগও রয়েছে। সচেতন মহলের অভিমত শীঘ্রই ওই কতিপয় শিক্ষকের অবৈধ মাদক কারবারি ও আয়ের উৎস খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন সহ দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।