অপতৎপরতায় লিপ্তদের আশা ভঙ্গ করতে পুলিশকে আরও সুসংগঠিত করে সাজানো হচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ দেশের অগ্রগতিকে বাঁধাগ্রস্ত করতে যারা অপতৎপরতায় লিপ্ত তাদের আশা ভঙ্গ করতে পুলিশকে আরও সুসংগঠিত করে সাজানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার সন্ধ্যায় শিল্প পুলিশের ১১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর কার্যালয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

এর আগে মন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমাদের দেশের যে অগ্রগতি আমরা যে বোটমলেস বাস্কেটে একটা সম্ভাবনার দেশে পরিণত করেছি। সেখানে হয়ত অনেকেরই অনেক ধরণের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। অনেকেই হয়ত দিবা স্বপ্ন দেখছিলেন হয়ত তারা অনেক কিছু করে ফেলবেন। তাদের সেই আশায় বালি পড়েছে। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার যে প্রচেষ্টা সে গুলো তারা যাতে চালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য পুলিশকে আমরা আরও সুন্দর ভাবে সাজাচ্ছি। আমরা জোড় গলায় বলতে পারি আমাদের পুলিশ অত্যন্ত দক্ষ। আমাদের পুলিশ যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো, এদেশের পুলিশ হবে জনগণের পুলিশ। আজকে কিন্তু সেই জায়গাটাতে পুলিশ আসছে। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, আন্দোলন করতাম। তখন পুলিশ আসছে শুনেই পালাইতাম আমরা। আজকে সিচুয়েশন উল্টাটা হয়েছে। সবাই এখন পুলিশের কাছে যায়, আমাদের একটু সহযোগিতা করেন। এটাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় যেমন করে আমরা শিল্পাঞ্চল পুলিশ তৈরি করেছি শিল্পাঞ্চল গুলোকে সুরক্ষিত করার জন্য। শুধু তাদের জানমাল রক্ষার জন্য সেই পুলিশ কাজ করছে না। এই পুলিশ কাজ করে মালিক এবং শ্রমিকের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি করতে এবং তাদের মিলেমিশে কাজ করানোর জন্য। পাশাপাশি এলাকা গুলোকে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাখার জন্য এই শিল্পাঞ্চল পুলিশ কাজ করে থাকে। সংখ্যায় এরা কম আছে আমি মনে করি। আমাদের যেতে হবে অনেক দূরে। এজন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব ধরণের দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে কি ধরণের চ্যালেঞ্জ আসতে পারে তা মাথায় রেখে কাজ করছি।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘গার্মেন্টস সেক্টর আমাদের টনক নড়িয়েছে। বিভিন্ন সময় আমাদের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্ট হচ্ছিলো গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে। অনেক সময় মালিক ও শ্রমিকদের নানান ধরণের অসন্তোষ লেগেই থাকতো। সেই গুলি নিরসনের জন্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রপ্তানী আয়ের এই চালিকাশক্তিকে আরও জোরদার করার জন্য শিল্প পুলিশ গঠন করেছিলেন। যার ফলে আজকে কিন্তু গার্মেন্টস সেক্টরে অসন্তোষ কমে গেছে। আজকে শিল্প পুলিশ সুন্দর ভুমিকা পালন করছে বলেই মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে একটা সেতুবন্ধন তৈরি করে দিয়েছে। এই সেতুবন্ধনের জন্য কিন্তু আজকে আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারি। আমরা নিশ্চিন্তে বলতে পারি আমাদের শিল্পাঞ্চলের পুলিশ কাজ করছে বলেই শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের মধ্য একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। যা এখন আরও সুদৃঢ় হয়েছে। সবাই আমরা সুন্দর ভাবে কাজ করছি বলে আমরা এমডিজি গোল্ড পার করেছি।’

এসময় অতিথি হিসেবে পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদ এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের মন্নুজান সুফিয়ান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসানসহ প্রমুখ।