অটোরিক্সার জন্য হত্যা করে লাশ ফেলেছিলো দিঘীতে, চোরাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার

নাদিম হায়দার, ব্যুরো প্রধান মুন্সীগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জের পঞ্চসারে অটোচালক হিমেল মীর(২৩) এর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এঘটনায় অটোচোরাই চক্রের ৫ সদস্য আটক ও চোরাই অটোর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মলনে এসব তথ্য জানান মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব সুমন দেব।

আটককৃতরা হলেন, মুসা সরকার(৪৫), নজরুল ফরাজী(৩০), সবুজ চৌকিদার(২৮), আবুল হোসেন (৪০), মোঃ মোশাররফ হোসেন (৩৮)।

সংবাদ সম্মলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানায়, অটোরিকশা চোরাইয়ে জন্য প্রথমে বন্ধুত্ব ও পরে গত ১৪ই জানুয়ারী কৌশলে একটি ঘরে নিয়ে নেশা পানিয়ে খাইয়ে অচেতন করে অন্ডকোষ চেপে হত্যা করা হয় হিমেলকে। এরপর নিহতের বস্তাবন্দি লাশ দিঘীতে ফেলে দেওয়া হয়। চোরাই অটোরিক্সাটি লৌহজংয়ে একটি গ্যারেজে বিক্রি করে দেয় অটোচোরাই চক্রের সদস্যরা। হত্যার চারদিনপর গত ১৮ই জানুয়ারী অজ্ঞাত ও অর্ধগলিত অবস্থায় হিমেলের লাশ উদ্ধারের করা হলে পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে।

এঘটনায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২৪জানুয়ারি) বিকালে হত্যাকান্ডে জড়িত মুসা সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অপর চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মোশারফ হোসেনের কাছ থেকে চোরাই অটোরিক্সার চেসিস, তিনটি টায়ার ও একটি মিটার উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ১৮ই জানুয়ারী মুন্সীগঞ্জ সদরের মুক্তাপুর এলাকায় মল্লিক রায় দিঘী থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় হিমেল মীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত হিমেল স্থানীয় গোসাইবাগ এলাকার সাইজউদ্দিন মীরের ছেলে।
এদিকে এঘটনায় সাথে জড়িত অপর পলাতক আসামী মোকসেদ’কে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব সুমন দেব।