পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যারা রিজার্ভ নিয়ে কথা বলছেন তারা দেশে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে তা বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট।
শুক্রবার সকালে সিলেটে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি বিষয়ক এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে কিছু পণ্ডিত আছেন তারা রিজার্ভ নিয়ে কথা বলছেন। এক সময় যখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ৩.২ বিলিয়ন ছিল তা নিয়েই বড়াই করত। আর এখন ৪০ বিলিয়নের উপরে, হ্যাঁ এটা ৪৮ বিলিয়ন ছিল, কমে গেছে, খরচ হয়েছে এটা স্বাভাবিক। রিজার্ভ উঠা-নামা করতেই পারে। বাংলাদেশের জন্য ৪০ বিলিয়ন রিজার্ভ যথেষ্ট। কমপক্ষে ৮-৯ মাসের মজুদ আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওপর অন্যান্য দেশের বিশ্বাসযোগ্যতা বেড়েছে। রিজার্ভ প্রয়োজন হয় গরিব দেশের। ধনী দেশের রিজার্ভ প্রয়োজন হয় না। গরিব দেশগুলো আমদানি করতে চাইলে রিজার্ভ থেকে অগ্রিম টাকা দিতে হয়। বাংলাদেশ এখন আর গরিব নেই। রিজার্ভ নিয়ে যারা কথা বলছে তারা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রিজার্ভ বাদ দেন আগে দেখতে হবে আমার চাল-ডাল আছে কিনা। হ্যাঁ, একটু দাম বেড়েছে সরকার চেষ্টা করছে কিভাবে দাম কমানো যায়। বর্তমান সরকার দেশের জনগণের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে নজর রাখছে।
শুক্রবার সকালে দুই দিনের সফরে সিলেট আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। সকাল ১০টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।