মিষ্টির নতুন হাঁড়ি

নিউজ ডেস্ক : নতুন আত্মীয়ের বাড়ি যেতে মিষ্টি না নিলে কি হয়? আর এই মিষ্টি নেওয়াটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে আমাদের গ্রামবাংলায়।

আগে মিষ্টি নেওয়া হতো মাটির হাঁড়িতে। আধুনিক যুগে এসে তা হয়েছে কাগজের প্যাকেট। এখন অবশ্য অনেকে সখের বসে মিষ্টি নিতে মাটির হাঁড়ি ব্যবহার করছেন।

পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটচ্ছে কুমার পাড়াগুলো। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মৃৎশিল্পীরা মিষ্টি নেওয়ার জন্য নতুন পাত্র তৈরি করছেন। তা হলো এই মাটির হাঁড়ি। ফুল, পাতা, পুতুলের নকশা আর নানা রং মিশিয়ে তৈরি হয় এ হাঁড়িগুলো।

প্রথমে কাদামাটির গোলাকে হাতের কারুকার্য দিয়ে তৈরি করা হয় একটি হাঁড়ি। চার ঘণ্টা রোদে শুকানোর পর রংয়ের আচর দেয়া হয় এতে। একদিন পর তা আগুনে পুড়িয়ে ব্যবহার উপযোগী করা হয়।

বিশেষ দিনি প্রিয়জনকে মিষ্টি উপহার দেওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো তৈরি করা হচ্ছে মিষ্টির হাঁড়ি।

পালপাড়া ঘুরে আরো জানা যায়, প্রতিবছর নকশায় পরিবর্তন আসে। আবার নতুন নতুন পণ্যও তৈরি হয়। নতুন বছরে নতুন কারুকার্য করেন শিল্পীরা। এ বছর ডিনার সেটে থাকছে প্লেট, গ্লাস, মগ, কারিবল, জগ, লবণবাটি, সানকি, কাপপিরিচ ও তরকারির বাটি। এছাড়া নতুন নকশায় তৈরি করা হয়েছে আধুনিক মানের স্যুপ সেট, থাকবে মাটির ফল প্লেট। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে কয়েলদানি, মোমদানি, ঘটি ও ফুলদানি ক্রেতাদের আলাদাভাবে আকৃষ্ট করবে। মাটির বিভিন্ন ধরনের খেলানাসহ ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। এসব পণ্যে রং হিসেবে ব্যবহার করা হয় গাছ ও পাতার কষ।

অনেকেই এখন মাটির তৈরি নানা জিনিস সংসারে ব্যবহার করছেন। এক সময় এই মৃৎশিল্পের বেহাল দশা হলেও বর্তমানে আলোর মুখ দেখছে শিল্পটি। নানা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের গণ্ডি পার হয়ে পাড়ি জমিয়েছে বাইরের বিভিন্ন দেশে। বাইরের দেশগুলোতে এই মৃৎশিল্প সুনামও কুড়িছে বেশ।