ঢাকা: মিরপুরের পল্লবীর সেকশন ৬ নম্বর কাঁচাবাজারে মাছ কিনতে যান এক নারী (২২)। তার সঙ্গে শান দেওয়ার জন্য মরিচা ধরা দুটি চাপাতি ও একটি বঁটি ছিল। বাজারের মধ্যে তার ব্যাগে বঁটি থাকতে দেখে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে আটক করে জনতা। একপর্যায় জনগণের তোপের মুখে পড়ে যান ওই নারী। তবে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে গণপিটুনি থেকে বেঁচে যান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকালে রাজধানীর পল্লবীর সেকশন ৬ নম্বর কাঁচাবাজারে এই ঘটনা ঘটে।
পল্লবী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেলিম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাজারে গিয়ে দেখি এক নারীকে দু’জন লোক দুই পাশ থেকে আটকে রেখেছে। আর উৎসুক জনতা ‘ছেলেধরা, কল্লা কাটা’ বলে চিৎকার করছে। পরে গণপিটুনি থেকে ওই নারীকে বাঁচাতে জনতার ভীর থেকে তাকে পুলিশ ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে আসি। বর্তমানে থানায় ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার পরিবারের সদস্যদের থানায় আসতে বলা হয়েছে।’
ঘটনার প্রসঙ্গে এএসআই সেলিম বলেন, ‘ওই নারী বাসা থেকে বের হয়ে তার বান্ধবীর বাসায় যায়। সেখান থেকে মাছ কিনতে কাঁচাবাজারে যান। এ সময় তিনি একটি পানের দোকানে গিয়ে পান খাচ্ছিলেন। সেখানে কয়েকজন তার ব্যাগে বঁটি দেখে সন্দেহ করে এবং ব্যাগ তল্লাশি করে একটি পলিথিন ব্যাগে দুটি মরিচা পড়া চাপাতি ও সবজি কাটার একটি বঁটি পায়। এতেই ছেলেধরা ও কল্লাকাটা বলে চিৎকার দিয়ে তাকে আটক করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগী ওই নারী জানায়, তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর। বর্তমানে পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিংয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন তিনি। আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটিতে বাড়ি যাবেন তিনি। তাই ঘরে থাকা দুটি চাপাতি ও একটি বঁটি শান (ধার) দেওয়ার জন্য সেগুলো সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন।