রাজিবুল হক রনিঃ আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত মানুষের জান-মালের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতারা। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানী বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থান এবং সমাবেশে অংশ নিয়ে তারা এ কথা বলেন।
বিএনপির গণমিছিল ঘিরে এ দিন ঢাকার ৯টি স্থানে সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। এগুলো হলো-উত্তরা, মহাখালী, ফার্মগেট, শ্যামলী, মিরপুর, গাবতলী, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, রামপুরা, বাড্ডা ইউলুপ এবং যাত্রাবাড়ী এলাকা। এসব এলাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে টিম পাহারায় ছিল। দুপুরের পর প্রতিটি স্পটে ঢাকা মহানগর, থানা এবং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি সমাবেশে রূপ নেয়।
বিএনপির গণমিছিল ঘিরে রাজধানী জুড়ে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সতর্ক পাহারার অংশ হিসেবে যাত্রাবাড়ী অবস্থান নিয়েছে দলটি। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) উত্তরায় আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন।
জামায়াত-বিএনপি ‘র সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে জনগনের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে অবস্থান কমসুচী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ডাঃ মোস্থফা জামাল মহিউদ্দিন।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ডাঃ দিপু মনি এমপি,সভাপতি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আলহাজ্ব আবু আহমেদ মান্নাফি,আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা যাত্রাবাড়ী থানা তাঁতি লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মাহী হাসান জাকির, সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এম পি ঢাকা-৫ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
যাত্রাবাড়ী আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে যাত্রাবাড়ী থানা তাঁতিলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহী হাসান জাকির বলেন, বিরোধী দল আন্দোলনের নামে যেন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা কোনোভাবেই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি হতে দেবো না। আমরা সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে থাকবো। বিরোধী দলের তথাকথিত হিংসাত্মক, ধ্বংসাত্মক বা জানমালের ক্ষতি হয় এ ধরনের কর্মসূচি আওয়ামী লীগ ও তাঁতি লীগ খুব শক্তভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে তা মোকাবিলা করবে।
তিনি বলেন, বিএনপির গণমিছিল নিয়ে মানুষ আতংকিত। আজ তাদের গণমিছিলে ঢাকা শহরের মানুষ আতংকিত। সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব মানুষের পাশে থাকা। কেউ যাতে শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমরা মাঠে আছি। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায় আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করবো ইনশাল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, সরকারের যে অর্জন রয়েছে সে অর্জন আরও ব্যাপকভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। দেশের জন্য এ ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ প্রচুর কাজ করেছে। এ কাজের সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে এবং আরও অনেক প্রকল্প পাইপলাইনে রয়েছে, চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য দেশের স্বার্থে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে।