স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বেগম রোকেয়া দিবস ও জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে । গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেগম রোকেয়া দিবসের আলোচনা সভায় পাঁচ নারী জয়িতাদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বেগম রোকেয়া দিবসটির আয়োজন করেন।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ‘ জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ ’ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতারা হলেন. অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হলেন, দর্শনা শান্তিপাড়ার আরিফুন্নেছা, সফল জননী নারী দামুড়হুদার হালিমা খাতুন, শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী জীবননগরের মহানগর দক্ষিণপাড়ার নুসরাত তামান্না, চুয়াডাঙ্গার মুক্তিপাড়ার লিজা হুসাইন এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী চুয়াডাঙ্গা বাজারপাড়ার পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ সুলতানা আঞ্জু।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বেগম রোকেয়া দিবসের এক আলোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আওলিয়ার রহমান, প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নাবিলা ছন্দা বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নুরুন্নাহার কাকলী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী বক্তব্য রাখেন।
সভায় রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, পড়াশুনায় নারীরা এগিয়ে গেছে। সরকারের সদিচ্ছার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। নারীরা ঘুরে দাঁড়ান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক বলেন, নারীরা এখন সচেতন। থানায় নারী ও শিশু হেল্প ডেস্ক চালু আছে। সেখানে নারী কর্মকর্তা দ্বারা নারীদের সেবা দেয়া হচ্ছে।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া দিবসে নির্বাচিত জয়িতাদের সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তারা পুরস্কৃত হবেন। বেগম রোকেয়া ব্যক্তির নাম নয়, প্রতিষ্ঠানের নাম। নারী অগ্রযাত্রার অগ্রদূত। নারীদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দেশের অর্ধেক জনসংখ্যায় নারী। নারীদের বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। কাতার বিশ্বকাপে ৬ জন নারী রেফারীর দায়িত্ব পালন করছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও মেডিকেলে নারীরা এগিয়ে গেছে। বাল্যবিয়ে , যৌতুক এবং নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। জেলা জজ সমমর্যাদার বিচারক দেয়া হয়েছে। ১০৯ হেল্প ডেস্ক আছে।
যে সুযোগ আছে তা কাজে লাগাতে হবে। নারী নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে এগিয়ে আছেন। সায়মা ওয়াজেদ অটিজম বিষয়ে কাজ করছেন। নারী-পুরুষ সমন্বয়ে কাজ করি তাহলে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। নারীদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।