প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া গাজী নজরুল ইসলামের মেয়ে ও স্ত্রীকে মঙ্গলবার জেলগেট থেকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া আগের রাতে কাশিমাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির কয়েক নেতাসহ এক ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দাবি করেছে। হামলার সময় মফিজুল গাজী নামে এক বৃদ্ধের হাত ভেঙে যায় বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সাতক্ষীরা-৪ সংসদীয় আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী গাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রী মাকসুদা বেগম ও তার মেয়ে নাসিমা আক্তারকে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের গেট থেকে আটক করা হয়েছে। কারাগারে আটক গাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের আটক করা হয় বলে পরিবারের দাবি।
বিকেলে যোগাযোগ করা হলে সাতক্ষীরা ডিবির ওসি আলী আহমেদ হাশেমী প্রার্থীর স্ত্রী ও মেয়েকে আটকের কথা স্বীকার করেন।
এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে গাজী নজরুল ইসলামকে তার শ্যামনগর সদরের বাসা থেকে আটক করে শ্যামনগর থানা পুলিশ।
এছাড়া মঙ্গলবার পুলিশ নুরনগর ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) মোবারক হোসেনকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন ও ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামসহ বিএনপির পাঁচ নেতার বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করা হচ্ছে।
আনোয়ার ও সালামের দাবি, সোমবার রাতে ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি সানাউল্লাহর নেতৃত্বে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় হামলায় অংশ নেওয়া লোকজন ওই দুই নেতার বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ছাড়াও হবি মোল্যা, বনি আমিন মোল্যা এবং জহুর মোল্যা নামে আরো কয়েক বিএনপি কর্মীর বাড়িতে হামলা করে। সেখানেও তারা ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দাবি করেছে। বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হলে তিনি জেলার নির্বাচনী সেলে লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে আনোয়ার হোসেন জানান।
স্থানীয়রা বলছেন, সানাউল্লাহর নেতৃত্বে হামলাকারীদের তাণ্ডবে মফিজুল গাজী নামে এক বৃদ্ধের হাত ভেঙে যায়। ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের স্ত্রীসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।