নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার ঝিনাইদহ-২ (সদর ও হরিণাকুণ্ডু) আসনে বিএনপির অ্যাডভোকেট এমএ মজিদের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন এই এলাকায় দলটির নেতাকর্মীরা। গত সোমবার চেম্বার জজ নুরুজ্জামান ননী এই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে আদেশ দেন।
এ আদেশের ফলে ধানের শীষের প্রার্থী ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঝিনাইদহ-২ আসনের ভোট। সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ফলে তাদের আসনটি ধানের শীষশূন্য হয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গৃহিত না হওয়ায় অ্যাডভোকেট মজিদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। যদিও তিনি মনোনয়ন সংগ্রহের আগেই উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। অ্যাডভোকেট মজিদ হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
মজিদের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর এ আসনে ভোটযুদ্ধে থাকলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকী সমি, জাকের পার্টির আবু তালেব সেলিম, বাম গণতান্ত্রিক জোটের অ্যাডভোকেট আশাদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের ফকরুল ইসলাম।
বিএনপি প্রার্থী এমএ মজিদ বলেন, ‘আমি আওয়ামী সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার।’
ভোটের মাঠে থাকা ‘ছোট’ কোনো দলকে তারা সমর্থন জানাবেন কি-না এমন প্রশ্নে অ্যাডভোকেট মজিদের উত্তর, ‘দলের হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবেন। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হবে।’
২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ে মজিদের প্রার্থিতা বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। পরে ইসিতে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। এরপর দলের চূড়ান্ত মনোনয়নও পান আব্দুল মজিদ। যদিও এ আসন থেকে তিনিসহ দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মসিউর রহমান, তার ছেলে ইব্রাহিম রহমান (বাবু) ও অ্যাডভোকেট এসএম মশিয়ুর রহমান। মজিদকে দলের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর বাকি তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।