হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান নিজেদের আরেকটি বিমানের ডানায় ধাক্কা দিয়েছে। এতে দুটি বিমানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার (৩ জুলাই) রাত ৯টা ২০ মিনিটে বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে বিমানের বোয়িং-৭৮৭ এবং বোয়িং-৭৩৭ ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমান দুটির মধ্যে একটি আগে থেকেই পার্ক করা অবস্থায় ছিল। অন্যটি যাত্রী নামিয়ে পার্কিংয়ের দিকে আসছিল। তখনই এই সংঘর্ষ হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে জানতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামালকে ফোন করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জিএম-পিআর) তাহেরা খন্দকার জানান, সিঙ্গাপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি এয়ারক্রাফট যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসে। এয়ারক্রাফটের আর কোনো ফ্লাইট না থাকায় এটি হ্যাঙ্গারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ৯টা ২০ মিনিটে হ্যাঙ্গারের পাশে নিয়ে যাওয়ার সময় বোয়িং-৭৩৭ এর বাম দিকের উইংয়ের সঙ্গে বোয়িং-৭৮৭ মডেলের এয়ারক্রাফটটির ডান দিকের উইংয়ে আঘাত লাগে।
এতে বোয়িং-৭৩৭ এর বাম দিকের উইংয়ের লাইটের ওপরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বোয়িং-৭৮৭ এর ডান উইংয়ের নিচের অংশে আঁচড় লাগে। এতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানতে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কাজ করছে।
এর আগে গত ১৬ জুন শাহজালালে দুর্ঘটনার শিকার হয় বিমানের বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার। বোর্ডিং ব্রিজের সংযোগ না খুলেই বিমানটি পুশব্যাক শুরু করে। এতে বিমানের ড্রিমলাইনারের দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তার আগে গেল এপ্রিলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুটি উড়োজাহাজের ধাক্কা লেগে দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন বিমান জানায়, বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে আগে থেকেই বিমানের একটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাখা ছিল। পরে আরেকটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হ্যাঙ্গারের দিকে নেওয়া হয়। হ্যাঙ্গারের ভেতরে প্রবেশ করানোর সময় ৭৩৭ উড়োজাহাজের সামনের অংশের সঙ্গে ভেতরে থাকা ৭৭৭ উড়োজাহাজের পেছনে অংশের ধাক্কা লাগে। এতে একটি ৭৩৭ উড়োজাহাজের সামনের অংশ (নোজ) এবং ৭৭৭ উড়োজাহাজের পেছনের অংশ (টেইল) ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ওই ঘটনায় বিমানের প্রিন্সিপাল প্রকৌশলীসহ পাঁচজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এ কর্মকর্তারা হলেন বিমানের প্রিন্সিপাল প্রকৌশলী মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. মাইনুল ইসলাম, সৈয়দ বাহাউল ইসলাম, সেলিম হোসেন খান এবং জিএসই অপারেটর মো. হাফিজুর রহমান।