নিজেস্ব প্রতিবেদক :
নাম তার মোছা. হালিমা বিবি। বয়স তার ৭৫। থাকেন জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার কাঁচাকুল গ্রামের একটি ছোট্ট ঝুপড়ি ঘরে। প্রায় ১৬ বছর আগে স্বামী আব্দুল সাত্তার মারা গেছেন। অসুস্থ বিধবা হালিমা একাই বাস করেন এই ঝুপড়িতে। দুই ছেলে দুই মেয়ে তার। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ছেলে দেনার দায়ে নিরুদ্দেশ। ছোট ছেলে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন, মায়ের খোঁজ তেমন একটা রাখেন না।
বয়সের ভারে উপার্জন করার মতো সক্ষমতা নেই হালিমার। প্রতিবেশীরা মাঝেমধ্যে চাল-ডাল দিয়ে সহযোগিতা করলে খেতে পারেন, তা না হলে না খেয়েই দিন কাটে তার। সাহায্য করার মতোও তেমন কেউ নেই বললেই চলে।
হালিমা বিবির বিষয়টি নজরে পরে শুভসংঘ বন্ধুদের। তারা উদ্যোগ নেন বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ানোর। অসহায় বিধবার চাহিদা মতো বাজার নিয়ে তার ঝুপড়ি ঘরে হাজির হন ক্ষেতলাল উপজেলা শুভসংঘের সদস্যরা। অসহায় এই মানুষটি কিছুক্ষণের জন্য ভুলে গিয়েছিলেন নিজের সব দুঃখ-কষ্ট। মুখে তখন শুধু আনন্দের হাসি। নিজ হাতে তিনি একটা একটা করে সব সামগ্রী বের করেছেন ব্যাগ থেকে।
শুভসংঘের উপহার পেয়ে তিনি জানান, এতোগুলা বাজার একসাথে অনেকদিন পর দেখলাম বাবা। এখন অনেকদিন খাওয়ার চিন্তা নাই আমার। আল্লাহ তোমাদের ভালো করুক।
ব্যাগভর্তি বাজারের মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আটা, তেল, চিনি, লবন, ছোলা, ডিম, মসলা, সাবান, এমনকি তার পছন্দের পান সুপারি।
উপজেলা শুভসংঘের সভাপতি এম রাসেল আহমেদ বলেন, আমরা সবসময় ভালো কাজের সাথে নিজেদের জড়িয়ে রাখার চেষ্টা করি। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আবু নাছের, মো. রাব্বিউল হাসান জিন্না, রনি বাবু, মোস্তাক আহমেদ, শামীম আহমেদ, আরমান, মেহেদী প্রমুখ।