নিজস্ব প্রতিবেদক: বরগুনায় শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তাকে নির্যাতন ও জোরজবরদস্তি করে এই জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।
শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বরগুনার বিচারিক হাকিম মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে জবানবন্দি দেন মিন্নি। জবানবন্দি শেষে আদালত প্রাঙ্গণে তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক হুমায়ূন কবীর বলেন, “তিনি (মিন্নি) স্বেচ্ছায় আদালতে বক্তব্য দিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে তাকে আনা হয়। এবং তিনি বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।”
জবানবন্দিতে মিন্নি কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আদালতের কপি পাওয়ার আগে কিছু বলতে পারব না।”
তবে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মিন্নিকে নির্যাতন করে জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন মিন্নিকে নির্যাতন করে জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন বিকালে যখন মিন্নির
জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছিল সে সময় আদালত প্রাঙ্গণে এসে মেয়েকে নির্যাতন করে জবানবন্দি নেওয়ার অভিযোগ করেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমার মেয়েকে নির্মম নির্যাতন করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য আদালতে নিয়ে আসছে। আমার মেয়েকে যে ধরনের নির্যাতন করেছে সে হয়ত বাঁচবে না। মেয়ে মারা গেলে আমিও বাঁচব না। আমি আত্মহত্যা করব।”
এক পর্যায়ে আদালতের সামনে থাকা নারকেল গাছের সঙ্গে মাথা ঠোকেন মিন্নির বাবা। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে খুনিদের আড়াল করতে তার মেয়েকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে মোজাম্মেল হোসেন বলেন, “আমার মেয়ের কাছে কোনো আইনজীবী যেতে পারছেন না। সকল আইনজীবীকে নিষেধ করা হয়েছে কেউ যেন তার পক্ষে আদালতে না যায়। আমার মেয়ে নির্দোষ, সে স্বামী হত্যার বিচার চায়।”
মিন্নি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ জানিয়ে তার বাবা বলেন, “রিমান্ডে গতকাল নির্যাতনের সময় সে যখন অসুস্থ হয় তখন আমার বাড়ি গিয়ে প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসেছে। তখনই বুঝেছি নির্যাতন করা হয়েছে।”
তবে মিন্নিকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে পরিদর্শক হুমায়ূন বলেন, “এটা সত্য নয়।”