
আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি : জাতীয় মৎস্য পুরস্কার-২০১৯ –এ রোপ্য পদক পেলেন আলমডাঙ্গার কৃতি মৎস্যচাষি ইমদাদুল হক হিমেল। কৃতিত্বের সাথে (পাবদা) মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে এ পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা এ পুরষ্কার প্রদান করেন। ঢাকার কৃষিবীদ ইন্সটিটিউশনে অনুষ্ঠিত এ পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রি আশরাফ আলী খান খসরু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা। স্বর্ণপদক অর্জনকারিদের নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং রৌপ্যপদক অর্জনকারিদের ৩০ হাজার করে টাকা প্রদান করা হয়। সে সময় তাদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, মৎস্য খাতে অবদানের জন্য নির্ধারিত মোট ৯ বিভাগের মধ্যে ৭ বিভাগে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৮টি স্বর্ণপদক ও ৯টি রৌপ্যপদক প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জাতীয় মৎস্য পুরস্কার এর মনোনয়নের জন্য গত ২০১৮ সালের মৎস্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে এবং ২১ ডিসেম্বর জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ ও সমকালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মাধ্যমে সারাদেশ থেকে মনোনয়ন আহ্বান করা হয়। আবেদন জমা পড়লে নির্ধারিত কারিগরি/বাছাই কমিটি কর্তৃক ৭১টি আবেদনকে প্রাথমিক ভাবে গ্রহণ করা হয়। এরপর মৎস্য অধিদফতরের ৮টি সরেজমিন যাচাই টিম মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে ২৯টি আবেদনকে নীতিমালার আওতায় বৈধ বলে গ্রহণ করে। সেই ২৯টি আবেদন থেকেই ৭ ক্যাটাগরিতে মোট ১৭টি পুরস্কারের জন্য ৯টি প্রতিষ্ঠান এবং ৮ ব্যক্তিকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়। মৎস্যচাষ, উৎপাদন, রপ্তানিসহ মৎস্যখাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবছর জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী দিবসে এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়ে থাকে।
এলাকাসূত্রে জানা যায়, সারা দেশে রোপ্যপদক অর্জনকারি ইমদাদুল হক হিমেল আলমডাঙ্গার ডামোশ গ্রামের হাজী নাজিম উদ্দীনের ছেলে। ডামোশ গ্রামসহ পার্শ্ববর্তি বেলগাছি ও ফরিদপুর গ্রামে প্রায় ৫০ একর জলাশয়ে তিনি পাবদা মাছের চাষ করে আসছেন।
পুরষ্কার পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে হিমেল বলেন, এই অবস্থানে আসার পেছনে সবচে বড় অবদান ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন তার শ্রদ্ধেয় বাপ-মা, স্ত্রীসহ পরিবারের সকল সদস্য। পাশে থাকা কিছু মানুষের প্রতি বিশেষ করে তার ভাই চঞ্চল, হাসান, সাজু সহ অনেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায় সহযোগিতাকারি সরকারি-বেসরকারি কর্মচারি-কর্মকর্তার নিকট। বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সাংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনকে।