কাশ্মীরে সাহায্য চান মোদী, দাবি ট্রাম্পের

অনলাইন ডেস্ক: কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে তৃতীয় পক্ষের খবরদারি যে মানা হবে না, তা অতীতে বার বার জানিয়ে দিয়েছে ভারত। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপও মানতে রাজি নয় নয়াদিল্লি। অথচ হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সটান জানিয়ে দিলেন, কয়েক সপ্তাহ আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে আর্জি জানিয়েছেন। ট্রাম্পের বক্তব্য, ‘আমাকে দিয়ে যদি সত্যিই হয়, তা হলে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে আপত্তি নেই আমার।’

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছিল। উনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি মধ্যস্থতা করবেন? আমি জিজ্ঞাসা করি কোন বিষয়ে? তখনই উনি কাশ্মীরের কথা বলেন।’ ট্রাম্পের এই মন্তব্যে ব্যাপক আলোড়ন সর্বত্র। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার টুইট– ‘এ বার কি তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মিথ্যেবাদী বলবে ভারত সরকার নাকি আড়ালে আবডালে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের ব্যাপারে তাদের অবস্থান বদলে গিয়েছে?’ তবে রাতের দিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার অবশ্য সাফ জানিয়ে দেন, এ রকম কোনও আর্জি প্রধানমন্ত্রী মোদী ট্রাম্পকে করেননি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিরোধী দল কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুরও টুইট করেন, ‘আমার মনে হয় ট্রাম্পের বিন্দুমাত্র ধারণা নেই উনি ঠিক কী নিয়ে কথা বলছেন।’

ভারত যা-ই ভাবুক না কেন, পাক প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশিত ভাবেই সাদরে গ্রহণ করেছেন এই প্রস্তাব। ইমরান বলেন, ‘যদি আপনি সত্যিই মধ্যস্থতা করতে পারেন, তা হলে কাশ্মীরের কোটি কোটি বাসিন্দার শুভকামনা, প্রার্থনা ও শুভেচ্ছা আপনার জন্যই থাকবে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয়, ভারতও কাশ্মীর সমস্যার সমাধান চায়। আপনিও চান। আমি যদি এতে মধ্যস্থতা করতে পারি, তা হলে সত্যি খুশি হব। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভাল। আপনাদের সঙ্গে ভারতের টানাপোড়েন রয়েছে। মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয় আমরা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলে সুষ্ঠু পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’