ঐক্যফ্রন্ট শপথে আসবে, আশা চৌদ্দ দলের

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোটে জয়ী বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গী নেতাদের মাথা গরম না করে শপথ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন চৌদ্দ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।

বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে চৌদ্দ দলের এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ঐক্যফ্রন্ট যা পেয়েছে তা নিয়েই তাদের আসা উচিত। আমি আশা করি তারা সংসদে আসবে। অতীতের মত একই ভুলের তারা পুনরাবৃত্তি করবেন না। কেননা অতীতের ভুলের জন্য অনেক ক্ষতি হয়েছে।

“তাদের মাথা গরম না করে ইতিবাচক রাজনীতিতে আসা উচিত।”

রোববার অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৫৯টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। আর জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য জোটসঙ্গীদের নিয়ে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৮টি। অপরদিকে বিএনপির পাঁচজন এবং তাদের জোট শরিক গণফোরামের দুজন নেতা সংসদ সংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জয়ী প্রার্থীদের শপথে অংশ না নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

তবে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও অতীতের মত ভুল না করে তাদেরকে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের বিজয় নিয়ে নাসিম বলেন, “মহাজোটের এই বিশাল জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জনগণ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই অবিস্মরণীয় বিজয়ের মাধ্যমে জনগণ সন্ত্রাসী দলকে ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। একটি টালবাহানার ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু বাংলার জনগণের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের কারণে আমরা অবিস্মরণীয় বিজয় অর্জন করেছি।”

পুনঃনির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেওয়া থেকে বিএনপিকে বিরত থেকে ইতিবাচক রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানান নাসিম।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ দুটি রায় দিয়েছেন। একটি হচ্ছে জঙ্গি সন্ত্রাসমুক্ত শান্তি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা এবং মুক্তিযুদ্ধের শক্তির পক্ষে তারা রায় দিয়েছেন।

“আরেকটি রায় হচ্ছে যারা রাজাকার, জামায়াত, সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী সম্প্রদায়ের সাথে পার্টনারশিপ করে অশান্তির রাজনীতি করে, তাদের বর্জন করেছে এবং চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।