রংপুর প্রতিনিধি : উত্তরের জেলা রংপুরেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। এ অঞ্চলের সন্তান হওয়ায় রংপুরবাসীর কাছে এরশাদের জনপ্রিয়তাও রয়েছে। এ কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর ও সিটি করপোরেশন) আসনে লাঙল প্রতীক নিয়ে মহাজোটের প্রার্থী হয়েছেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। কিন্তু অসুস্থতার কারণে এবারও রংপুরে ভোট দিতে আসছেন না তিনি। এর আগে ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি রংপুরে ভোট দেননি। পর পর দুই নির্বাচনে এরশাদের ভোট দিতে না আসা নিয়ে রংপুরের সাধারণ মানুষ ও সমর্থকদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
জানা গেছে, অসুস্থতার কারণে এবারের নির্বাচনী প্রচারে এক দিনের জন্যও রংপুরে যেতে পারেননি এরশাদ। রংপুর মহানগরীর সেনপাড়ার তোজাম্মেল হোসেন মেমোরিয়াল শিশুমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে এরশাদের ভোট দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি ভোট দিতে আসতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন এরশাদের এপিএস মনজুরুল ইসলাম।
এদিকে লাঙলের দুর্গখ্যাত রংপুরে ভোটের দিন এরশাদের অনুপস্থিতিকে সহজে মানতে পারছেন না তার ভক্তরা। ক্ষুব্ধ তৃণমূলের জাতীয় পার্টির কর্মী-সমর্থকরা। রংপুর মহানগরীর মুন্সীপাড়া এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হামরা তো তাক ভোট দিয়্যা জিতি দেমো। কিন্তুক তার কি হামার কাছোত আইস্যার প্রয়োজন নাই? ইয়্যার আগোতো এরশাদ সাইব অসুস্থ ছিল।’
রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির বলেন, রংপুর এরশাদ সাহেবের ঘাঁটি। তাই স্যারের অনুপস্থিতি কোনো প্রভাব ফেলবে না।
তিনি দুদিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন। বর্তমানে রংপুরে খুব শীতও পড়ছে। ডাক্তার এ সময় স্যারকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। তাই তিনি রংপুরে আসছেন না।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের পর থেকে হাসপাতাল ও বাসায় আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ। এর পর ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান তিনি। সেখানে লম্বা সময় অবস্থান শেষে ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসেন।
জানা যায়, রংপুর-৩ (সদর ও সিটি করপোরেশন) আসনে ১৭৫ ভোটকেন্দ্রের ৯০৬ ভোটকক্ষে এবার ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৭১। এখানে মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (লাঙল), জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত রিটা রহমান (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের আমিরুজ্জামান পিয়ালসহ (হাতপাখা) নয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।