এক দশকের ব্যবধানে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ২ লাখ টনের বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ টন ছাড়িয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার টন। মাত্র এক দশকের ব্যবধানে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ২ লাখ টনের বেশি। বুধবার রাজধানীর মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এ তথ্য জানান। গতকাল মৎস্য সপ্তাহ শুরু হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম। শুধু তাই নয়, ইলিশের পাশাপাশি মুক্ত জলাশয়ের মাছ আহরণে তৃতীয়, তেলাপিয়ায় চতুর্থ এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছে পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইলিশ সম্পদের স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে জেলেদের সঞ্চয়ী করার পাশাপাশি তাদের আপত্কালীন জীবিকা নির্বাহের লক্ষ্যে সাড়ে ৩ কোটি টাকার একটি ‘ইলিশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ তহবিল’ গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সমুদ্রে গবেষণা ও জরিপ চালিয়ে ৪৩০ প্রজাতির মৎস্য সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের মজুত ও জীববৈচিত্র্যকে অধিকতর সমৃদ্ধ করতে সরকার গত ২৬ জুন নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপসংলগ্ন ৩ হাজার ১৮৮ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র এলাকাকে প্রথমবার ‘সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কৃত্রিম প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করায় বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় পাবদা, গুলশা, টেংরা, মহাশোলসহ প্রায় ২০টি প্রজাতির মাছ এখন বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। অন্যান্য বিলুপ্তপ্রায় মাছ পুনরুদ্ধারেও গবেষণা জোরদার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ বছর জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মাছ চাষে গড়ব দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। সপ্তাহটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গতকাল সংবাদ সম্মেলনের আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খানের নেতৃত্বে মৎস্য ভবন থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এছাড়া রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (কেআইবি) প্রাঙ্গণে গতকাল থেকে সপ্তাহব্যাপী ‘মৎস্য মেলা’ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় তিন দিনব্যাপী মৎস্য মেলা ও নেত্রকোনায় পাঁচ দিনের একটি ‘প্রযুক্তিভিত্তিক মৎস্য মেলা’ অনুষ্ঠিত হবে।