আইডিইবি’র নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

রাজিবুল হক রনি: ঢাকা ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

আইডিইবি’র  মূলস্রোতধারার বর্তমান সোনালী অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে এবং সদস্য প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে সুদুরভাবে এগিয়ে নিতে আইডিবি কেনিক নির্বাচন ২০২৩–২০২৫ এর ভোট গ্রহণ চলছে 

আইডিইবির নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ৩৭টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮০ জন প্রার্থী। দেশের ৬৪টি জেলা ও সাতটি সাংগঠনিক জেলায় স্থাপিত ৭৯টি ভোট কেন্দ্রে নিবন্ধিত ১৮ হাজার ৪৩১ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

সংসদ সদস্য এনামুর রহমানকে সভাপতি ও আব্দুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে আইডিইবির সাত সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি স্বল্প সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রণয়নের করে ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের জন্য নির্বাচন আয়োজন করেন।রাজধানীর আইডিইবি ভবনে সর্বস্তরের সদস্যদের উপস্থিতিতে এ কমিটি গঠন করা হয়।

ঢাকা ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে। নির্বাচনে ৮০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৭ টি পদের বিপরীতে। 

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ২০২৩-২৫ সেশনের নির্বাচনের জন্য আইডিইবির সংবিধান লঙ্ঘন করে ভুয়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন, অসম্পূর্ণ ভোটার তালিকা, একই ব্যক্তিকে একাধিকবার ভোটার তৈরি ও নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ না করা ও আইডিইবি ভবনে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় প্রতিবাদ জানানো হয়। এ প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক মল্লিক ও প্রকৌশলী খন্দকার মঈনুর রহমান প্যানেল।

সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মইনুর জানান, আইডিইবির সংবিধান অনুযায়ী তিন বছর পরপর জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচনের কথা থাকলেও কোনো নিয়মই মানেননি ক্ষমতাসীন হামিদ-শামসুর প্যানেল। উল্টো ক্ষমতা ধরে রাখতে নিজেদের সুবিধামতো একাধিকবার নীতিমালা পরিবর্তন করেছেন।

বক্তারা জানান, সুষ্ঠু-নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেনি ক্ষমতাসীন পক্ষ। হামিদ-শামসুর প্যানেল নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে আত্মীয়-স্বজনদের দিয়ে গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই শতভাগ প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছেন তারা।

সম্প্রতি নানান অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্ট আইডিইবির বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তবে, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের নেতারা। তারা বলেছেন, নির্বাচনে পরাজিত হওয়া একটি গ্রুপ মিথ্যাচার করছে। তারা যেসব অভিযোগ তুলছেন এর কোনো প্রমাণ নেই।