অসৎ উপায় বন্ধ করতে হবে : চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল খান

স্টাফ রিপোর্টার: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বিশ্ব’ এ শ্লোগানে চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২২ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আকাশে বেলুন উড়িয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এরপর মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আওলিয়ার রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক বজলুর রহমান.বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে মুফতি রুহুল আমিন ও অধ্যক্ষ মাহবুবুল ইসলাম সেলিম বক্তব্য রাখেন। এসময় জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেবেকা সুলতানা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, দুর্নীতি পরায়ন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লিখে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান বলেন, যে কাজ দ্বারা অন্যের হক নষ্ট করা হয় সেটাই দুর্নীতি। সেবা গ্রহীতাদের একবারের জায়গায় তিনবার আসাই দুর্নীতি। দুর্নীতি সামাজিক ব্যাধি। দুর্নীতির কারণে দেশ ও জাতির যে লক্ষ্য অর্জন আমরা ব্যর্থ হবো। সভায় যারা আছি তারা দুর্নীতিমুক্ত জীবন গড়বো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক বলেন, দুর্নীতি বিরোধী অভিযান এখন অনেক সক্রিয়। ব্যক্তিগত লাভবানের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকে। দেশপ্রেম না থাকলে এ নীতি থাকেনা। আমরা দেশের হয়ে কাজ করে থাকি। বেতনের বাইরে কিছু পেতে পারি এই চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করবো। দুর্নীতি বিরোধী প্রশাসন গড়বো। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরী পাবেন। যারা টাকা দিয়েছেন তারা ফেরত নিয়ে নেবেন। পড়াশুনা করলে চাকরী পাওয়া যায়। অসৎ উপায় বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও সমাজ গড়ে তুলবো। ধর্মেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলা আছে। দেশের স্বপন্দ্রষ্ট্রা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করেছেন। আমরাও সেলক্ষে কাজ করছি।

দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা, প্রশাসন ও পরিবার থেকে দুর্নীতি দূর করবো। যারা দুর্নীতি করবে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এরফলে মানুষ সচেতন হবে। প্রচার-প্রচারণা সারা বছর চালাতে হবে। সবাই মিলে কাজ করে দুর্নীমিমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে পারবো।